‌‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত লিটুর আগাগোড়া ছিল সততা

‌‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত লিটুর আগাগোড়া ছিল সততা

Other

একজন মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে, তার কীর্তির মধ্যে। মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ব, দরদ ও সহমর্মিতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে, বিশিষ্ট করে। তাই যখন তার দেহাবসান ঘটে তার মানবাত্মা মানুষের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়, কষ্টে দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় সে মূর্ত হয়ে ওঠে।  

গরীবের ডাক্তার নামে খ্যাত আমার প্রাণপ্রিয় অনুজপ্রতিম লিটু ছিল সেই ধরনের একজন মানুষ।

আমাদের কাছে জীবনের লক্ষ্য থাকে একেকজনের কাছে একেক রকম। কেউ পাইলট, কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ জজ ব্যারিস্টার, কেউ শিক্ষক, কেউ সাংবাদিক আবার কেউবা অন্যকিছু। কিন্তু জীবনের লক্ষ্য যে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আমরা ভুলে যাই।  

আমাদের লিটু একজন খ্যাতিমান ডাক্তার হয়েছিল বটে কিন্তু তার জীবনের লক্ষ্য ছিল মানুষ হয়ে ওঠা।

লিটু ছিল এমন একজন মানুষ যার চিন্তায়, চেতনায় সবসময় ঘুরপাক খেত মানুষের কল্যাণ। কেউ কোনো সমস্যার কথা বললে কখনো সে না করত না। সাধ্য মতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করত। তার আরেকটি বড় গুণ ছিল আগাগোড়া সততা। ভেতর বাহির একাকার। মুখে যা বলত বুকের ভেতরে অবিকল তাই বিরাজ করত।

লিটু ধনী গরীব সকলের ডাক্তার ছিল। কিন্তু অসহায় গরীব মানুষের জন্য তার হৃদয় সবসময় আবেগপ্রবণ থাকত। ধনী বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে গরীবদের চিকিৎসা করত। কিন্তু এককভাবে কিছু করা সত্যি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেই চিন্তা থেকে ‘রোগী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন একক প্রচেষ্টায় দাঁড় করায়। কিন্তু তার সেই লক্ষ্য পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগেই পরপারের ডাক আসে। দুই বছর আগে এমনি দিনে সে আমাদের ছেড়ে স্বার্থপরের মতো চলে যায়। আর আমার মতো কত অপদার্থ মানুষ বিনা কারণে অপ্রয়োজনীয়ভাবে এখনো বেঁচে রয়েছি। ঈশ্বরের এই বিচার মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে!

প্রিয় লিটু, আমরা তোমাকে সারাজীবন মনে রাখব। তোমাকে আমরা গভীরভাবে ভালোবাসি। ভালোবাসা ছাড়া তোমাকে দেবার মতো আমাদের আর কিছু নেই।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর