মায়ের মার খেয়ে চাচার ঘরে রাত্রীযাপন, অন্তঃসত্ত্বা হলো ভাতিজি

মায়ের মার খেয়ে চাচার ঘরে রাত্রীযাপন, অন্তঃসত্ত্বা হলো ভাতিজি

অনলাইন ডেস্ক

বরিশালের মুলাদীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মামলায় চাচা ইদ্রিস হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ।

এর আগে, ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় নির্যাতিতা মুলাদির ডিক্রিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। দণ্ডপ্রাপ্ত ইদ্রিস হাওলাদার উপজেলার ডিক্রিচর গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে এবং সম্পর্কে নির্যাতিতার চাচা।

আরও পড়ুন: ‌‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত লিটুর আগাগোড়া ছিল সততা

সালিশে ধর্ষণের রফাদফা ৭২ হাজার টাকায়, ক্ষোভে কিশোরীর আত্মহত্যা

৫-৬ জন মিলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নাজমা বেগম শিউলী। তিনি জানান, নির্যাতিতা তার সৎ মায়ের সঙ্গে মুলাদীর ডিক্রিরচর গ্রামে থাকতো।

তার বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ সৎ মায়ের হাতে মার খেয়ে ইদ্রিসের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে নির্যাতিতা। ওই রাতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ইদ্রিস। এই ঘটনা কাউকে বললে তাকে ও তার বাবাকে (শিশুটির বাবা) হত্যার হুমকি দেয় ইদ্রিস।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর রক্তাক্ত কাপড় ছিঁড়ে গোসল করিয়ে আলামত নষ্ট

সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, রক্তাক্ত উদ্ধার

এর কিছুদিন পর সৎ মা নির্যাতিতার শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভুক্তভোগী সব ঘটনা বলে দেয়। ওই বছরের ৩০ জুলাই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ইদ্রিসকে একমাত্র আসামি করেন।

আরও পড়ুর: দিনের পর দিন চাচার হাতে ভতিজি ধর্ষণ, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

ভাতিজিকে ধর্ষণ, জেল থেকে বেড়িয়েই চাচার মোটর শোভাযাত্রা!

ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগ চাচার বিরুদ্ধে

একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন খান ইদ্রিসকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ছয়জনে জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

news24bd.tv তৌহিদ