নেই বেতন, পেশা বদলাতে বাধ্য হন অনেক শিক্ষক

নেই বেতন, পেশা বদলাতে বাধ্য হন অনেক শিক্ষক

Other

ভালো নেই বেশিরভাগ শিক্ষক। করোনাকালে যেখানে ঘরে বসেই বেতন পেয়েছেন সরকারি ও এমপিওভুক্ত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক, সেখানে দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে চাকরি হারানোর শঙ্কায় পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন অনেকে, বন্ধ হয়েছে অনেক ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শিক্ষার উন্নয়নে বৈষম্য দূর করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষককে গুরুত্ব দেয়ার কোনো বিকল্প নেই।

শিক্ষক, মানুষ গড়ার কারিগর। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে অনেকটা এগিয়েছে বাংলাদেশ। বেড়েছে শিক্ষা বাজেট, চলতি অর্থবছরে যা মোট বাজেটের ১১.৬৯ শতাংশ।

স্বাক্ষরতার হার বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশে।

বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। কিন্তু শিক্ষকদের উন্নতি কতটা হয়েছে?করোনাকালে পাল্টেছে অনেক হিসেব। সরকারি ও এমপিওভুক্ত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক ঘরে বসে বেতন পেলেও বিপাকে পড়েছেন নন-এমপিওভুক্ত ৭ হাজার প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ও ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক।


আরও পড়ুন: দেশে টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনা চূড়ান্ত


ভালোই চলছিল বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবের। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে বাঁধ সেধেছে করোনা। তিনি জানান, করোনায় ব্যক্তি মালিকানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষাক শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

সরকারি শিক্ষকদের বেতন ঠিকঠাক চললেও, ১০ মাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন বেতন নেই। এ অবস্থায় কিছু পরিমাণ প্রনোদনার ব্যবস্থা করা গেলেও ভাল হত তাদের জন্য।

শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিতে ২০০৩ সাল থেকে দেশে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস। কিন্তু আদৈ কি তা নিশ্চিত হয়েছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু উন্নতি হয়েছে কিন্তু এর সুফল পৌছেনি সবখানে। এখনও নানাভাবে বৈষম্যের শিকার শিক্ষকরা।

শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের দক্ষতা এবং জীবনমানের উন্নয়ন জরুরি বলেও মত তাদের।

news24bd.tv আহমেদ