করোনায় অনলাইন ব্যবসায় বড় প্রবৃদ্ধি

করোনায় অনলাইন ব্যবসায় বড় প্রবৃদ্ধি

Other

ছোট- বড় সব ব্যবসায় ধাক্কা দিয়েছে করোনা মহামারি। ক্ষতি কাটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে করোনাকালে অনলাইন ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে অনেকটা জ্যামিতিক হারে।  

আইসিটি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, এই সময়ে ই- কমার্স খাতে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩শ শতাংশ।

তিনি জানান, ২০২৩ সাল নাগাদ আরো অন্তত ২ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে ই-কমার্সের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।

মাত্র বছর দুয়েক আগে অনলাইনে হোলসেল পণ্য কেনা বেচার প্লাটফরম হিসেবে যাত্রা শুরু করা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সদাগর ডটকম। ভোগ্যপণ্য থেকে নিত্য ব্যবহার্য পণ্য; শিল্পের যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রীও পাইকারিতে কেনাবেচা চলে এই প্লাটফরমে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জানান, নামমাত্র লোকবল নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন সরাসরি ৬০ জন কর্মী; ৩ হাজার উৎপাদক, আমদানিকারক ও পাইকার কাজ করছেন এই মাধ্যমে।

করোনকালে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিও হয়েছে সন্তোষজনক ই-কমার্স উদ্যোক্তারা।

করোনাকালে ক্রেতাদের অভ্যাসে পরিবর্তন এবং অনলাইন নির্ভরতা বাড়ায় এমন অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি মিলেছে দ্বিগুন হারে। ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের হিসাবে করোনাকালে মাত্র ৮ মাসে ই-কমার্স এর লেনদেন হয়েছে অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ১৪ শ। এছাড়া করোনাকালে নতুন সদস্য যুক্ত হয়েছে তিন শতাধিক।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আজকের ডিলের সিইও ফাহিম মাশরুর জানান, তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেয়া গেলে এখাত আরো সমৃদ্ধ হবে।


আরও পড়ুন: নেই বেতন, পেশা বদলাতে বাধ্য হন অনেক শিক্ষক


কিউবেক মার্কিটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিন মনজুর জানান, করোনাকালে ই-কামার্সে বিনিয়োগ বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে আরো বাড়বে। এবং অধিক সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

ই-কমার্সের অপার ব্যবসায়িক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নতুন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের  ই-কমার্স এর আওতায় আনা গেলে এর বাৎসরিক লেনদেন ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন আইসিটি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ইক্যাবের হিসাবে, ২০২০ সাল শেষে ই-কমার্সের বাজারের আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকায়, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

news24bd.tv আহমেদ