‘মানবাধিকার এটর্নী’ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য ৪০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন অজ্ঞাতনামা একজন আমেরিকান। ৫০ জন শিক্ষার্থীকে এই অর্থ তিনি দান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই এই অর্থ দান করেছেন ওই ব্যক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার অঙ্গিকারে ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘এনএএসিপি’ (দ্য ন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অব কালার্ড পিপল)’র লিগ্যাল ডিফেন্স এ্যান্ড এডুকেশনাল ফান্ডের কর্মকর্তারা সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ল’ স্কুলের ৫০ শিক্ষার্থীকে এই অর্থ প্রদান করা হবে।
সে অর্থে তারা আইনজীবী হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলে তারা কমপক্ষে ৮ বছর সেবা দেবেন বর্ণ-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার নিশ্চিতকল্পে। সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বর্ণ-বৈষম্যের বিলুপ্তি ঘটানোর জন্যে তারা কাজ করবেন। আর এই বৃত্তির অর্থ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে মানবাধিকার সংস্থাটির দু’বছর মেয়াদি ফেলোশিপ কর্মসূচির মাধ্যমে।
লিগ্যাল ডিফেন্স এ্যান্ড এডুকেশনাল ফান্ডের প্রেসিডেন্ট শেরিলীন আইফিল বলেন, ডলার প্রদানকারি আমাদের অফিসে এলেন।
আমাদেরও সে ব্যাপারে অভিজ্ঞতা আছে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এমন এক সময়ে আমরা অবস্থান করছি যখন দক্ষিণাঞ্চলেই শুধু নয়, প্রায় গোটা দেশেই বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণের বিষবাস্প ছড়িয়ে পড়েছে। ’
আইফিল বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে বিরাজমান বর্ণ-বৈষম্য দূরি করণের ক্ষেত্রে এটর্নির ভূমিকা অপরিসীম। মানবাধিকার বিষয়ে সম্যক জ্ঞাণ রাখেন এমন আইনজীবীরাই পারবেন সমাজ ও প্রশাসন থেকে এহেন মনোভাব দূর করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে। ’
এ ধরনের বৃত্তির কর্মসূচির নাম ‘মার্শাল-মোটলি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম’। এটি এনএএসিপি চালু করেছে ১৯৪০ সালে। এরমাধ্যমে এটর্নিশিপ পাওয়া কয়েকজন পাবলিক স্কুলে আফ্রিকান-আমেরিকান শিশু-কিশোর ভর্তির প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সক্ষম হন।
স্মার্টফোনের নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ
দ্বিতীয়বার মা হওয়ার আগেই ভাইরাল কারিনা!
সেই আইনগত লড়াইয়ে বিজয়ী কৃষ্ণাঙ্গ এটর্নি বেকার মোটলি পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফেডারেল জজ হয়েছিলেন।
সোমবার ছিল মানবাধিকার নেতা ড. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের জন্মদিন। আফ্রিকান-আমেরিকান তথা অভিবাসী সমাজের অধিকার সুসংহত করার পথে নিজের জীবন দিয়ে গেছেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
এজন্যে বছরের এ দিনটি ফেডারেল হলিডে হিসেবে পালিত হয়। করোনার কারণে এবারের জন্মোৎসব একেবারেই সীমিত আকারে হয়েছে। এদিনই নাম গোপন রাখার শর্তে এই বিপুল পরিমাণের অর্থ প্রদানের ঘোষণা এলো বিরাজমান বর্ণ-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে মৌলিক একটি প্রক্রিয়া অবলম্বনের অভিপ্রায়ে।
news24bd.tv আয়শা