পায়ে হেঁটে মারায়ন তং পাহাড়ে উঠল ৩ বছরের জারা!

পায়ে হেঁটে মারায়ন তং পাহাড়ে উঠল ৩ বছরের জারা!

অনলাইন ডেস্ক

বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে পায়ে হেঁটে বান্দরবানের ১৬৬০ ফুট উচ্চতার মারায়ন তং পাহাড়ে উঠে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে পাবনার চাটমোহরের তিন বছরের শিশু সাবিলা মোস্তাফিজ জারা।

জারার পায়ে হেঁটে পাহাড়ে ওঠানামার বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সেখানকার পর্যটক গাইডরা। তারা জানিয়েছেন, এর আগে এত কম বয়সী শিশু পায়ে হেঁটে পাহাড়ে ওঠেনি।

পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের চৌধুরীপাড়া মহল্লার ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডেভেলপার মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও সাদিয়া ইসলাম ইলা দম্পতির মেয়ে জারা।

জারার এমন কৃতিত্বে খুশি বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

গত ৫ জানুয়ারি চাটমোহর থেকে ট্রেনে বান্দরবনের উদ্দেশে বাবা-মায়ের সঙ্গে যায় জারা। পরদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ১৬৬০ ফুট উচ্চতার মারায়ন তং পাহাড়ে ওঠা শুরু করে তারা। তিন বছরের মেয়ে জারাকে কোলে নিয়ে পাহাড়ে ওঠাতে ভাড়া করা হয় পর্যটক গাইড।

কিন্তু জারা কারো কোলে না গিয়ে নিজের পায়ে হেঁটে মারায়ন তং পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে যায়। এতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা ৪৩ মিনিট।

জারার বাবা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম জারাকে কোলে নিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য গাইডও ভাড়া করেছিলাম। কিছু টাকাও গাইডকে দিয়েছিলাম যাতে কিছু চকোলেট, বিস্কুট কিনে জারার সঙ্গে সখ্য করে কোলে নিতে পারে। কিন্তু জারা কোলে নিলেই কান্নাকাটি করত। পরে সে একাই আমাদের সঙ্গে হেঁটে পাহাড়ে ওঠে। শুধু হেঁটে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠাই নয়, নামার সময়ও নিজেই হেঁটে নিচে নেমেছে জারা।

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পর্যটক গাইড ইয়াসিন আলী, জামাল হোসেন ও মুন্না হোসেন জানান, তিন বছরের শিশু জারা হেঁটে মারায়ন তং পাহাড়ে উঠেছে এটা সত্য। তারা শিশুটির সঙ্গে ছিল সব সময়। তারাও বিস্মিত শিশু জারার এমন মনোবল দেখে। এর আগে তিন বছর বা চার বছর বয়সী কোনো শিশুকে তারা পায়ে হেঁটে পাহাড়ে উঠতে দেখেননি বা শোনেননি।

এত কম বয়সী শিশু ১৬৬০ ফুট উচ্চতার মারায়ন তং পাহাড় পায়ে হেঁটে জয় করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্বীকৃতির দাবি সংশ্লিষ্টদের।