সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস, তিনি যেমন চেয়েছিলেন, তেমনিই চুপিসারে বিগত হলো। বিখ্যাত বেশ্যা-কন্যা কানন বালার কাছে টেনিং পাওয়া, পাবনা থেকে কলিকাতা পালিয়ে আসা ও সাধারণ মনোরমা থেকে বাঙালির মহানায়িকা হয়ে ওঠা সুচিত্রা সেন, স্বামী বীরেশ্বরানন্দজীর একনিষ্ঠ মুরিদ ছিলেন; ক্যান্সার-ক্লিষ্ট হয়ে বেলভিউ ক্লিনিকে শুশ্রুষা নেয়ার প্রহরগুলোতেও বালিশের নিচে রাখা শ্রী শ্রী মা সারদার ছবির কাছে অনুযোগ করতেন, সুখ দুঃখের কথা বলতেন সুচিত্রা সেন।
ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সময়ে সুচিত্রা সেন বেলুড় মঠের ভরত মহারাজের কাছেও চুপিচুপি আসতেন। সাধনালয়ের সোহবত, সাধুদের সাথে কথা বলবার আদব তিনি জানতেন না, কিন্তু, ধীরে ধীরে শিখে নিয়েছিলেন।
শিশুর মতো বিনয়ে মহারাজের কাছে ফল নিবেদন করতেন।সুচিত্রা সেনের বোর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসর্ডার তাঁর সময়ের মানুষ কিছুই বুঝে উঠতে পারে নি ও তাঁকে মুডি বা অভিমানী বলে তাঁর অসম্ভব মনকষ্টকে নর্মালাইজ করতো--একটু নিষ্কৃতি, একটু নিদান পাবার জন্য সুচিত্রা সেন সাধু-সন্ন্যাসীদের সঙ্গ নেন আর ১৯৭৮ সালে তাঁর 'প্রণয় পাশা' ফিল্মটা সুপার-ডুপার ফ্লপ হবার পর লোকচক্ষুর আড়ালে সাধনাও শুরু করেন।
এসময় থেকেই তিনি বলতেন, "মনে গৈরিক রং মাখোরে মানুষ" ! শোনা যায়, ২০১২ ঈসায়ী,এক মধ্যরাতে, হঠাৎ তিনি ঠাকুরের ডাক শুনে বেলুড় মঠে ছুঁটে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে মেট্রোরেল
দ্বারবান, সুচিত্রা সেনকে চিনতে না পেরে, মন্দিরের দরওয়াজা খুলতে অসম্মত হয়।
ভোরে, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তিনি নিঃশব্দে প্রস্থান করেন। আপনার মহাপ্রস্থান দিবসও আমি নিঃশব্দে বিগত হতে দিলাম...
ভক্তের প্রণাম গ্রহণ করবেন, মা। তামাম সুদ !
লেখক: এবাদ এবাদ (ফেসবুক থেকে সংগৃহিত)
news24bd.tv আহমেদ