১৫২ বছরের ইতিহাসে পূর্বসূরির অনুপস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ

১৫২ বছরের ইতিহাসে পূর্বসূরির অনুপস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিদায়ী বার্তা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে ট্রাম্প এক ভিডিও বার্তায় এই বিদায়ী বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি আমেরিকাকে যে মহৎ করার যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা অব্যাহত থাকবে বলেও মত দেন। একই সঙ্গে নতুন প্রশাসনের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।

তবে বিদায়ী বার্তায় একবারও তিনি বাইডেনের নাম নেন নি। এমনকি বাইডেনের প্রতি কোন অভিনন্দন বার্তাও জানাননি। খবর বিবিসির।

এমন সময়ে তিনি এই বার্তা দিলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

তবে ট্রাম্প তাঁর বিদায়ী বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত করোনার টিকা নিয়ে আসার জন্য নিজের সাফল্যের কথা বলেন। যদিও আমেরিকার অধিকাংশ লোকজন মনে করেন, করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।

চার বছর আগে একজন বহিরাগত হিসেবে ওয়াশিংটনে এসেছিলেন ট্রাম্প। আগে ধারণ করা বিদায়ী বক্তৃতায় তিনি তাঁর সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখানে যা করার জন্য এসেছিলাম, তার চেয়ে বেশি করেছি। ’

ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি নিজে কঠিন লড়াই করেছেন। কঠিন সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, জনগণ তাঁকে এসব করার জন্যই নির্বাচিত করেছিলেন। কারও নাম উল্লেখ না করে ট্রাম্প নতুন প্রশাসনের সাফল্য কামনা করেন। নতুন প্রশাসনের জন্য সৌভাগ্য কামনা করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘সৌভাগ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ!’

ট্রাম্প ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াসহ তাঁর পরিবারের সদস্য ও প্রশাসনের লোকজনকে ধন্যবাদ জানান। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বুধবার সকালে ট্রাম্পের বিদায় অনুষ্ঠানে থাকছেন না বলে তাঁর অফিস থেকে জানানো হয়েছে। তবে মাইক পেন্স বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন।


অভিবাসীদের জন্য বাইডেনের সুসংবাদ


প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প আমেরিকার জনগণের উদ্দেশে দেওয়া শেষ বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি নিঃশঙ্ক ও আনন্দচিত্তে চলে যাচ্ছি। সর্বোচ্চ আশাবাদ নিয়ে বলছি, আমাদের দেশ ও সন্তানদের জন্য সেরাটা এখনো অর্জিত হয়নি। ’

‘ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন, ঈশ্বর যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গল করুন’—এ কথা বলে ট্রাম্প তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন।

বুধবার সকালেই ট্রাম্প হোয়াইট ছেড়ে যাবেন। সামরিক স্থাপনা অ্যান্ড্রু বেস থেকে শেষ সামরিক অভিবাদন নিয়ে তিনি ফ্লোরিডার মার এ লাগোতে চলে যাবেন। ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন, তিনি বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন না।

আমেরিকার ১৫২ বছরের ইতিহাসে পূর্বসূরির অনুপস্থিতিতে কোনো নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নিতে যাচ্ছেন। বাইডেন শপথ গ্রহণ করবেন স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে।

জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস তাঁদের পরিবার নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে পৌঁছেছেন। প্রথম কাজ হিসেবে তাঁরা করোনায় মারা যাওয়া চার লাখের বেশি মানুষকে স্মরণ করেছেন। লিংকন মেমোরিয়ালে দাঁড়িয়ে জো বাইডেন, জিল বাইডেন, কমলা হ্যারিস ও তাঁর স্বামী ডাগলাস এমহফ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করেন।

news24bd.tv আয়শা