বাইডেন কি তা হলে উত্তর আমেরিকার ‘মোদি’?

বাইডেন কি তা হলে উত্তর আমেরিকার ‘মোদি’?

অনলাইন ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে এক ধরনের তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি দিয়ে হেসে ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জো বাইডেনের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন টিম সেই ভিডিওটাকে কাজে লাগিয়েছে নির্বাচনী প্রচারণায়। ট্রাম্পকে যে প্রতিবেশি দেশও মর্যাদার চোখে দেখে না- এমন একটি বার্তা দিতে চেয়েছে জো বাইডেনের ক্যাম্পেইন টিম ট্রুডোর হাসির সেই ভিডিওটি ব্যবহার করে।

জো বাইডেন না কি ট্রুডোকে ফোন করে তার ক্যাম্পেইনে ট্রুডোর ভিডিও ব্যবহারের কথা বলেছেনও।

কিন্তু কিস্টোন পাইপলাইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জো বাইডেন- ট্রুডোকে ফোন করে কথা বলার সৌজন্যতাটুকু দেখান নি। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাভাবিক শিষ্টাচার জো বাইডেনের মধ্যে কাজ করেনি। জো বাইডেন কি তা হলে উত্তর আমেরিকার ‘মোদি’?

জাস্টিন ট্রুডো আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ক্রিসমাসের আগেও তিনি এই পাইপলাইন বহাল রাখা নিয়ে জো বাইডেনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তা হলে তো জো বাইডেনের এতো তাড়াহুড়া করার কিছু ছিলো না।


আরও পড়ুন: সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবসে ভক্তের নিবেদন


ট্রুডো অবশ্য পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন- তার সরকার এই প্রকল্পটিকে সমর্থন করে এবং এ নিয়ে তিনি দেনদরবার চালিয়ে যাবেন। আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনির সঙ্গে এ নিয়ে তিনি কথা বলবেন- সেটিও জানিয়েছেন। জেসন কেনি আমেরিকার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ইতিমধ্যে। ট্রুডো সেই লড়াইয়ের অংশিদার হবেন কিনা সেটি এখনি বলা যাবে না। তবে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিষ্টাচার- সৌজন্যতার পথ অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি কতোটা মোদি বা ট্রাম্প হয়ে উঠবেন- সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে তার লক্ষণ কিন্তু অস্পষ্ট নয়।

news24bd.tv আহমেদ