নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যখন চীন তাদের বেশীর ভাগ উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তখনও চীনের বৃহত্তর শহরের উপকণ্ঠে টেসলা নিজেদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। যেখানে কাজ করেছিলো হাজার হাজার শ্রমিক। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে তাদের অনেককেই কর্মস্থলে আসার জন্য সরকারি বাস সুবিধা প্রদান করা হয়। এমনকি অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যেখানে এন৯৫ মাস্কের স্বল্পতায় ভুগছিল, সেখানে টেসলার কর্মীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ মাস্ক বরাদ্দ ছিল।
টেসলার উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য টেসলা সরকারের কাছ কেবল অনুমতিই পায়নি, বরং তারা পুলিশি প্রহরাও পাচ্ছে।
ভালগারিজম নিয়ে মুখ খুললেন পূর্ণিমা
টয়োটা মোটর গ্রুপ, ফক্সওয়াগন এবং অন্যান্য বিদেশী গাড়ি প্রস্তুতকারক চীনে এখনও তাদের কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু করতে পারেনি। সেখানে টেসলা সাংহাই গিগাফ্যাক্টরিতে ১ হাজার গাড়ি তৈরি করেছে।
২০১৮ সালে সাংহাইয়ে প্লান্টের পরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকে টেসলা মূলত চীন সরকারের এমন বদান্যতা পেয়ে আসছে। এই মহামারীকালেও উৎপাদন কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরায় ভূমিকা রেখেছে দুই পক্ষের এই উষ্ণ সম্পর্ক। সরকারি এই সহায়তা পাওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে টেসলার সবচেয়ে বড় বাজারও হয়ে ওঠে চীন। চীনে টেসলা এখন সাধারণ একটি শাখা কারখানার চেয়েও বেশি কিছু। এখানে তাদের উদ্দেশ্য মৌলিক গবেষণা এবং বিকাশের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিবেশও তৈরি করা, যা দেশটির প্রতিভাবান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোর এবং সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের দূরে রাখারও সুযোগ করে দিয়েছে।
ইলোন মাস্ক এখন চীনের মেধাবীদের এবং এর বৈদ্যুতিক গাড়ির উচ্চাবিলাসী পরিকল্পনাকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিচ্ছেন। চীনের সঙ্গে ঠিকঠাকভাবে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারা টেসলার জন্য দারুণ এক সাফল্য বটে, যেখানে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সংবেদনশীল। পাশাপাশি টেসলার স্থানীয় ইউনিটও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে নিজেদের সুস্পষ্টভাবে একত্র করেছে। ফলে চীনের অন্য ইভি নির্মাতাদেরও তাদের কৌশলকে ব্যাপকভাবে উন্নত করতে হবে। এটি এখন বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে চীন সরকারের নেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হচ্চ্ছে।
news24bd.tv/আলী
