আওয়ামী লীগ বনাম এমপি লীগের লড়াই, কী বলছে হাইকমান্ড
নৌকা ডুবাতে মরিয়া কিছু এমপি

আওয়ামী লীগ বনাম এমপি লীগের লড়াই, কী বলছে হাইকমান্ড

Other

পৌরসভা নির্বাচনে, নৌকা ডোবাতে মরিয়া দলের কিছু এমপি। তৃতীয় ধাপেও নৌকার প্রতিপক্ষ, এমপি লীগ। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি পৌরসভায় লড়াই হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বনাম স্থানীয় এমপি লীগের বিদ্রোহীদের মধ্যে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, কেউ নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে বা বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করলে চিরদিনের মতো নৌকা হারাবে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন। সারাদেশের ৬৪টি পৌরসভায় এ নির্বাচন হবে। মাঠের বাস্তবতা বলছে, আওয়ামী লীগের তীব্র অন্তর্কোন্দলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, পৌরসভা নির্বাচনে। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ বনাম এমপি লীগ।

যেমন, বরগুনার পাথরঘাটায় নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন আকন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে, বরগুনা-২ আসনের এমপি শওকত হাচানুর রহমান দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‌‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত লিটুর আগাগোড়া ছিল সততা

সালিশে ধর্ষণের রফাদফা ৭২ হাজার টাকায়, ক্ষোভে কিশোরীর আত্মহত্যা

একই অবস্থা, রাজবাড়ীর পাংশায়। নৌকা প্রতীকের ওয়াজেদ আলীর প্রতিপক্ষ এমপি সমর্থিত ফজলুল হক ফরহাদ।

বগুড়ার ধুনট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন টি আই নুরন্নবী। কিন্তু অভিযোগ স্থানীয় এমপি’র মদদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে এ জি এম বাদশা।

আওয়ামী লীগের, হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত ছিলো, নৌকার প্রতিপক্ষ হয়ে, দল থেকে বিদ্রোহী হওয়া যাবে না। কিন্তু মাঠের বাস্তবতা হলো, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপেও এমপি লীগের প্রার্থীরাই প্রশাসনের সুনজরে ছিলো। এই বাস্তবতায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত মেয়র প্রার্থী আশানূর বিশ্বাস, সংবাদ সম্মেলন করে, স্থানীয় এমপি, আবদুল মমিন মন্ডলের বিরুদ্ধে, নৌকাকে হারানোর অভিযোগ এনেছেন।

এই বাস্তবতায়, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড বলছেন, দলের যারাই নৌকার বিরোধিতা করবে, তারাই ভবিষ্যতে নৌকা মার্কা পাওয়ার যোগ্যতা হারাবে।

কিন্তু দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, দলীয় হাইকমান্ডের এমন কঠোর সিদ্ধান্তও পৌর নির্বাচনের ভোটের মাঠে তেমন প্রভাব ফেলছে না।

news24bd.tv তৌহিদ