ফাঁকা অফিসে নারী কর্মীকে ধর্ষণ করল পরিচালক

ফাঁকা অফিসে নারী কর্মীকে ধর্ষণ করল পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর বানানীর সুইফট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন এক নারী (৩৮) । চাকরিতে যোগদানের পর থেকে কোম্পানির পরিচালক জহুরুল ইসলাম তাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ওই নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী নারী রাজি না হলে তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন কোম্পানির পরিচালক।

একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই নারী। গত ৩১ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র নিয়ে যান জহুরুলের অফিসে। অফিসে কেউ না থাকায় তাকে ধর্ষণ করেন জহুরুল। এ ঘটনায় গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৯নং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জহুরুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।

আদালত মামলাটি উত্তরা পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের’ দৃশ্য দারোয়ান দেখে ফেলায় ‘আত্মহত্যা করে’ কলাবাগানের কিশোরী

মায়ের মার খেয়ে চাচার ঘরে রাত্রীযাপন, অন্তঃসত্ত্বা হলো ভাতিজি

বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জহুরুলকে হাজির করা হয়।

জহুরুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দাস।

অপরদিকে আসামির আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার দাস উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট মামলার বাদীর সঙ্গে আসামি জহুরুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে জহুরুল বাদীকে তার কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব দেয়। ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট আসামি জহুরুল বাদীকে সুইফট ডেলপমেন্ট কোম্পানির নিয়োগপত্র প্রদান করেন।

আরও পড়ুর: দিনের পর দিন চাচার হাতে ভতিজি ধর্ষণ, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

ভাতিজিকে ধর্ষণ, জেল থেকে বেড়িয়েই চাচার মোটর শোভাযাত্রা!

ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগ চাচার বিরুদ্ধে

২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারী আসামি জহুরুলের পরিচালনাধীন সুইফট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে যোগদান করেন। চাকরিরত অবস্থায় আসামি জহুরুল বাদীল সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। বাদী রাজি না হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। পরবর্তীতে বাদী আসামি জহুরুলের কোম্পানিতে চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে অফিসে যান ভুক্তভোগী নারী। জহুরুল তার অফিসের বিশ্রামকক্ষে বাদীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে।

news24bd.tv তৌহিদ