যে দুই কাজে দোয়া কবুল হয় না

যে দুই কাজে দোয়া কবুল হয় না

অনলাইন ডেস্ক

মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য তার রহমতের দুয়ার সব সময় খোলা রেখেছেন। বান্দা কোন কিছু চাইবেন কিন্তু আল্লাহ সেটা পূরণ করবেন না এমনটা কখনও হয়নি। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ’তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। ’ তবে দুই কাজে বান্দার কোনো প্রার্থনা আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না।

কোনো বান্দা যদি আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়, আল্লাহ তাআলা সঙ্গে সঙ্গে ওই বান্দার আহ্বানে সাড়া দেন। বান্দা আল্লাহর কাছে বান্দা যত বেশি চাইবে, আল্লাহ তার চেয়েও বেশি দেবেন। তবে সাহায্য প্রার্থনাকারীর জন্য দোয়া কবুলে দুটি বাধা রয়েছে। হাদিসে এসেছে -

হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন।

অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। ’ (তিরমিজি)

এ হাদিসে বান্দার কাঙ্ক্ষিত চাওয়া পূরণের কথা এসেছে। যদি কারো চাওয়া পূর্ণ না হয় তবে তার থেকে তার অমঙ্গল বা অকল্যাণগুলো দূর করে দেয়া হয়। এ জন্য অবশ্যই মুমিন বান্দাকে দুটি কাজ থেকে বিরত থাকার বর্ণনাও এ হাদিসে তুলে ধরা হয়েছে। আর তাহলো-

১. পাপের কাজ না করা কিংবা পাপ কাজ করার ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা না করা।
২. আত্মীয়তার সুসম্পর্ক নষ্ট না করা কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করতে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা।

এ দুই কাজের কারণে বান্দার কোনো দোয়াই আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। সুতরাং উল্লেখিত কাজ দুটি থেকে বিরত থেকে দুনিয়ার কল্যাণ ও পরকালের সফলতা লাভে প্রার্থনা করাই মুমিন মুসলমানের অন্যতম কাজ।

দোয়া বা প্রার্থনাকারী যত বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, ক্ষমা চাইবে, রহমত কামনা করবে, আল্লাহর গুণগান গাইবে, ওই বান্দার জন্য তত বেশি লাভ। কেননা আল্লাহ তাআলা বান্দার চাওয়ার বেশি দানকারী। তার দানের কোনো সীমা-সংখ্যা নেই। হাদিসের বর্ণনায়ও তা উঠে এসেছে-

হজরত উবাদা ইবনুস সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আরও উল্লেখ কর হয়েছে যে, উপস্থিত লোকদের একজন বলল, তাহলে আমরা খুব বেশি বেশি দোয়া করতে পারি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা তার চেয়েও বেশি বেশি কবুলকারী। ’ (তিরমিজি)


আরও পড়ুন: কুরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াতের ফজিলত ও গুরুত্ব


সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মহান আল্লাহকে বেশি স্মরণ করা। পাপাচার থেকে বিরত থাকা। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক নষ্ট না করা। অন্যায় বা গোনাহের আবদার নিয়ে আল্লাহর স্মরণাপন্ন না হওয়া। তবেই আল্লাহ তাআলা বান্দার সব চাওয়া পরিপূর্ণ করে দেবেন। যাবতীয় অমঙ্গল ও অকল্যাণ থেকে হেফাজত করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করার মাধ্যমে দোয়া কবুলের ধরনা দেয়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া কামিয়াবি ও পরকালের সফলতা লাভে তাঁরই দেখানো পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর