নিরপেক্ষ নির্বাচনের ফায়দাভিত্তিক রাজনীতিই বড় বাঁধা

নিরপেক্ষ নির্বাচনের ফায়দাভিত্তিক রাজনীতিই বড় বাঁধা

Other

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়ার ক্ষেত্রে ফায়দাভিত্তিক রাজনীতিকেই অন্যতম বাধা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে-সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার অভাবকেও দায়ি করছেন তারা। মূলত এই দুই কারণেই নির্বাচনে এখনও সহিংসতা হচ্ছে বলে মত তাদের। এক্ষেত্রে- স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় না নির্দলীয় হওয়া উচিৎ, তা নিয়ে দ্বিমত আছে পর্যবেক্ষকদের।

ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা , সিটি কর্পোরেশন – এই পাঁচ ধাপে বিভক্ত দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। আগে স্থানীয়  সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হলেও - আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে এখন এসব নির্বাচন হচ্ছে দলীয়ভাবে।  

চলমান পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের প্রেক্ষাপট বলছে - ভোটে মানুষের লাইন বড় হলেও-সহিংসতা উল্লেখ করার মত। নির্বাচনের আগে – পরে ঘটছে প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ-রক্তপাত।

বিজয়ী প্রার্থী হত্যাকান্ডের ঘটনাও ঘটেছে। দল মনোনীত প্রার্থীর বাইরে স্থানীয় এসব নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থী। এমন বাস্তবতায়-স্থানীয় সরকারে নিরপেক্ষতার দাবি উঠছে।  

নির্বাচন বিশ্লেষক ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, দল ভিত্তিক নির্বাচন এবং ফায়দাভিত্তিক রাজনীতির কারণেই সহিংসতা বাড়ছে। কারণ তারা মনে করছেন, দলীয় ছাড়া পেলেই সাত খুন মাফ।

নির্বাচন বিশ্লেষক শারমীন মুরশিদ বলছেন, আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেছে। সহিংস এই নির্বাচন ব্যবস্থার কারণে দলীয় হোক বা নির্দলীয় হোক সহিংসতা বন্ধ হবে না।

আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলছেন, প্রার্থীরা আসলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় কি না তার উপর নির্ভর করছে নির্বাচন ভাল মন্দ।


আরও পড়ুন: সব প্রেমের বিয়েরই কি এই একই পরিণতি?


নির্বাচন পর্বেক্ষকদের মতে-নির্বাচন কমিশন, ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের সদিচ্ছা এবং অন্যান্য দলগুলোর শক্তিশালী অংশগ্রহণেই হতে পারে একটি ভাল নির্বাচন। তবে-স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থার ভাল-মন্দ নিয়ে মতবিরোধ আছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দলীয় প্রতীকে না হলেও দল যেহেতু সমর্থন করত তাই সেটিও দলীয়ই হতো। তবে এটা খারাপ কিছু না।   

তাদের মতে-যেকোনো ভোটে নির্বাচন কমিশনের শক্ত পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী। যতদিন তা না হবে-ততদিন সুষ্ঠু, গ্রহনযোগ্য এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দুরাশা হয়েই থাকবে।

news24bd.tv আহমেদ