প্রকল্পে কোন ধরনের অযৌক্তিক ব্যয় করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী বলেন, কেনা-কাটাসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক কিছু করা যাবে না। প্রকল্প প্রস্তাবে বাজারমূল্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ দাম নির্ধারণ করতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ অপব্যায়ের জন্য নয়।
প্রকল্প নিয়ে কোন নেতিবাচক প্রচারণায় আমরা থাকতে চাইনা।বৃহস্পতিবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফায়দাভিত্তিক রাজনীতি নিরপেক্ষ নির্বাচনের বাধা
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনিয়ম, অস্বচ্ছতা বা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হবেন না। প্রকল্পগুলো নিজেরা ধারণ করার চেষ্টা করবেন।
প্রকল্প পরিচালকদের এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের কাছ থেকে পরিচ্ছন্ন সেবা প্রত্যাশা করি। আন্তরিকতা ও একাগ্রতা প্রত্যাশা করি। প্রকল্পের ধীর গতি কোনভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নিয়ম অনুসরণ করা এবং আইন প্রতিপালন করার জন্য কাজের সমন্বয় থাকতে হবে। আপনাদের কাজের সাফল্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তা যেন ম্রিয়মান না হয়। সে দায়িত্বও আপনাদের। এ ব্যপারে আপনারা যত্নশীল থাকবেন। কাজের প্রতি আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান থাকবেন এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন।
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি, মৎস্য অধিদপ্তরের ৮টি এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ২টিসহ মোট ১১টি প্রকল্পের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণ এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
news24bd.tv/আলী