সবার আগে টিকা পাওয়ার অধিকার ডা. জাফরুল্লাহর

সবার আগে টিকা পাওয়ার অধিকার ডা. জাফরুল্লাহর

Other

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, ‘পয়লা টিকাটা প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উচিত। পাবলিকলি টেলিভিশনের সামনে টিকা উনি নিলে লোকের আস্থা জন্মাবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মন্ত্রীর জেলা শহরে গিয়ে সবার আগে টিকা নেওয়া উচিত। তাহলে লোকের আস্থা জন্মাবে এবং তাদের বুঝিয়ে বলা যাবে।

করোনার টিকার ব্যাপারে জনগণকে বুঝিয়ে বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের টিকা নিতে হবে কেন? কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে ডা, জাফরুল্লাহ এই প্রেসক্রিপশন করছেন?

করোনার টিকা বিজ্ঞানের আবিষ্কার। এ নিয়ে কোনো কথা বলতে হলে অবশ্যই বিজ্ঞানের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই বলতে হবে। যেহেতু এটি একটি নতুন বিষয়, সেই হেতু সাধারণ জনগণের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিধা সংশয় থাকাটা স্বাভাবিক। অতীতের যে কোনো টিকার ক্ষেত্রেই এই পরিস্থিতি হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের দায়িত্ব তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সেই সংশয় দূর করা। একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহর দায়িত্বও সেটা।

বিজ্ঞানী, চিকিৎসকরা বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলেন। অনেক রাজনীতিকই যুক্তিবিহীন সস্তা বাকোয়াজ করেন। ডা, জাফরুল্লাহ একজন চিকিৎসক। কিন্তু টিকা নিয়ে তার প্রেসক্রিপশনটি চিকিৎসক সুলভ নয়। করোনার মতো একটি স্পর্শকাতর মহামারীর  টিকা নিয়ে মানুষের মনে অবৈজ্ঞানিক চিন্তা থেকে উৎসারিত সংশয়কে তিনি উসকে দেয়ার চেষ্টা করছেন!

একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবেই কেবল নয়, বয়সের বিবেচনায় টিকা প্রাপ্তির আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকার তালিকায় যারা স্থান পাচ্ছেন ডা. জাফরুল্লাহ  সেই ক্যাটাগরিতে পরেন। তিনি বরং নিজে টিকা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি করেননি।

মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান নয়। করোনা রাজনীতির উপাদান নয়। করোনার টিকা নিয়ে বিজ্ঞানের তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলা উচিৎ।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুন দেশ, কানাডা

news24bd.tv তৌহিদ