সুন্দরবনে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার

সুন্দরবনে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার

Other

সুন্দরবনে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বনের ভারত সীমান্তে সীমাখালী নামক খাল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে সীমান্ত সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার  পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও একই গ্রামের মনু মিস্ত্রির ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)।


 
তবে তাদের মৃত্যু বাঘের আক্রমণে, না গোরু পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রতন ও মিজান গোরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। এলাকায় তারা গোরু পাচারকারী হিসেবেই পরিচিত।

আরও পড়ুর: দিনের পর দিন চাচার হাতে ভতিজি ধর্ষণ, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

ভাতিজিকে ধর্ষণ, জেল থেকে বেড়িয়েই চাচার মোটর শোভাযাত্রা!

ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগ চাচার বিরুদ্ধে

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতক্ষীরার নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরী জানান, সুন্দরবনের ভারতের অংশে বাংলাদেশি দুই ব্যক্তি বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।

তবে তাদের মৃত্যু বাঘের আক্রমণে, না গোরু পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের রতন (৩৫) মিজানুর (৩৯) ও আবু মুছা (৪০) কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বলে জানা গিয়েছিলো। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে রতনের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবু মুসা জানায়, বিকালে বনের মধ্যে তালপট্টি এলাকায় খালে কাঁকড়া ধরার সময় রতন ও মিজানুরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।

এসময় সে দৌঁড়ে বনের ভেতর উঁচু গাছের মগডালে উঠে আত্মরক্ষা করে। তবে গাছের ডালে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে নীচে এসে মিজানুর ও রতনকে আর খুঁজে পায়নি আবু মুছা। এরপর থেকে মুছার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ঘটনাটি প্রথম থেকেই রহস্যের সৃষ্টি করেছে।

news24bd.tv তৌহিদ