একজন নেতার ভাই অন্যজন টাকার মালিক

শেখ শহীদুল ইসলাম

একজন নেতার ভাই অন্যজন টাকার মালিক

Other

একরামুল হক এবং কাদের মির্জার বাক্যবিনিময় আ্ওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি অন্য একটা রাজনৈতিক দলের সদস্য। ফলে, ভিন্ন দল করার কারণে আরেকটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীন বিষয়ে কথা না বলাই ভালো।

তবুও বিষয়টি যেহেতু মানুষের মধ্যে সাড়া জাগাচ্ছে, মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, সেহেতু রাজনীতির লোক হিসাবে আমরা কিছু মন্তব্য করতে পারি।

 

দুজন লোক, যাদের মধ্যে দ্বন্ধটা শুরু হয়েছে, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ট কী দেখছি আমরা, একজন আ্ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই, এটা তার বড় পরিচয়।  

আরেকজন অর্থশালী ব্যক্তি যিনি অর্থের জোরে আ্ওয়ামী লীগের নমিনেশন নিয়েছেন এবং ওই এলাকায় এম পি নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং এই দ্বন্ধটা একদিকে রাজনীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতি।  

কারণ রাজনীতিতে উত্তরাধীকারের নীতি যেমন চলে না তেমনি চলে না টাকা এবং পেশী শক্তির রাজনীতি।

এই যে রাজনীতি, দুইজন যে তর্ক বিতর্ক করছেন তারা আসলে অরাজনৈতিক আচরণ করছেন। রাজনীতি যারা করেন তাদের যে ব্যবহারবিধি, তারা দুজনই সেই ব্যবহারবিধির বাইরে আচরণ করছেন।  

তারা নিজেরাই রাজনীতিবিদ নন। একজন অমুকের ভাই হিসাবে রাজনীতিতে আরেকজন টাকা ও সম্পদের জোরে রাজনীতিতে। কথা হলো রাজনীতি যারা করবেন তাদেরকে তৃণমূল থেকে উঠে আসা ব্যক্তি হওয়া দরকার, যেমন ওবায়দুল কাদের।  

ওবায়দুল কাদের ভালো ছাত্র ছিলেন। তিনি বোর্ডস্ট্যান্ড করেছিলেন। তারপর তিনি যখন মহসীন হলে এসে থাকলেন তখন মাহমুদুর রহমান বেলায়েত তার সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেন। আমি পরবর্তী প্যানেলে তাকে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব দেই। তারপর থেকে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন –এটা অস্বীকার করা যাবে না।  

সেই গড়ে উঠার এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংগঠন আ্ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। অতএব রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদেরের যেভাবে জন্ম হলো, মির্জা কাদের কিন্তু সেভাবে রাজনীতিতে আসেন নাই।  

কাল প্রধামন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবার

ভাগ্নির সঙ্গে সালমানের নাচের ভিডিও ভাইরাল

বাজেট নিয়ে এখনই ভাবছে সরকার!

নোয়াখালীতে তৃণমূল থেকে যারা রাজনীতিতে এসেছেন আমি তাদের প্রায় সকলকেই চিনি। একরামুল কবীর সাহেব রাজনীতিতে আসতে পারবেন না এমন কোনো কথা নেই। রাজনীতিতে আসার নির্দিষ্ট কোনো বয়সও নেই। তবে তিনি তৃণমুল থেকে উঠে আসা রাজনীতিবিদ নন। তারা দুজন যে সব কথা বলছেন, তা জনসম্মুখে বলার বিষয় নয়। এসব কথা তারা বলতে পারতেন দলীয় ফোরামে।  

একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনের ক্ষোভ থাকতেই পারে। যদি দলের প্রতি আনুগত্য থাকে তাহলে তারা সে কথাগুলো বলবেন দলীয় ফোরামে। সেগুলো দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সুরাহা করেন। পাবলিকলি বলার কারণে তারা দুজনই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আ্ওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ওনারা যারা আওয়ামী লীগ করেন, তারা সে ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবেন না। তারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করছেন। এটা তারা বুঝতে পারছেন না।

লেখক, শেখ শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় পার্টি (জেপি)।

news24bd.tv নাজিম