দিনের শুরুর আমল

দিনের শুরুর আমল

অনলাইন ডেস্ক

সকালবেলার সময়টা শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, সাধারণ কাজের জন্যও সবচেয়ে যথাযোগ্য ও বরকতপূর্ণ সময় এটি।

প্রিয়নবী (সা.) ভোরবেলার কাজে বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। হজরত সাখার আল-গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত সকাল বেলায় একটি দোয়া করতেন।

দোয়াটি হলো,

اللهم اجعل اول هذا النهارصلاحأواوسطه فلا حأ وأخره نجاحأ


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ্আল আওয়ালা হাযান নাহারা সলাহান, ওয়া আউসাতাহু ফালাহান, ওয়া আখিরাহু নাজাহান।

অর্থ: ‘হে  আল্লাহ! এই দিনের শুরু অংশে আমাকে কল্যাণ কাজের ফয়সালা করুন, (অর্থাৎ এই দিনটি যেন কোনো নেক আমল ও কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে শুরু হয় এবং এই দিনের শুরু অংশে আমাকে কল্যাণ দান করুন) হে আল্লাহ! এই দিনের মধ্য অংশে আমার জন্য সাফল্য ও কামিয়াবির ফয়সালা করুন। এবং দিনের শেষ অংশে ও আমার জন্য মঙ্গল নিহিত রাখুন। ’

ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশিক্ষণে রাশিয়ায় সেনা পাঠাবে ভারত

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবার

বান্ধবীদের কাছেই পিকে হালদারের ৮৬৭ কোটি টাকা


দিন শুরু হোক ভালো কাজের মাধ্যমে:
এই দোয়ার মধ্যে রাসূল করিম (সা.) দিনকে তিনটি অংশে ভাগ করে দিয়েছেন, তিনি প্রথম অংশ সম্পর্কে বলেছেন, হে আল্লাহ দিনের শুরু অংশে আমাকে সৎ ও নেক কাজ করার তাওফিক করুন, এই প্রার্থনার মাধ্যমে তিনি উম্মতকে এই শিক্ষা দিয়েছেন যে, যদি তোমরা উত্তম রূপে দিন অতিবাহিত করতে চাও, এবং ভাল ফল লাভ করতে চাও তাহলে দিনের প্রথম ভাগেই ভাল কাজের প্রার্থনা ও করুন।

হে আল্লাহ আমাকে তাওফিক দিন, আমি যেন দিনের প্রথম অংশ থেকেই নিজেকে নেক কাজে নিয়োজিত রাখতে পারি, কারণ দিনের প্রথম অংশ যার নেক কাজের মাধ্যমে শুরু হবে, আশা করা যায় তার সার দিন ভাল ভাবেই কাটবে।


সকালে উঠে এই কাজ কর:
এ কারণেই ভোরে বিছানা ছাড়ার পর প্রথম কাজ হলো ফজরের নামাজ আদায় করা, এটি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ এবং ফরজ বিধান। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এরপর যখন সূর্য উঠবে, চারদিক ফর্সা হয়ে যাবে তখন দুই রাকাত এশরাক নামাজ আদায় করবে, এটি অবশ্য ফরজ না, ওয়াজিব না, সুন্নতে মুয়াক্কাদাও না, বরং নফল। তবে এই নফল নামাজ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, দিনের শুরুতে তুমি আমার জন্য দুই রাকাত সালাত আদায় কর, আমি তোমার জন্য দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত সাহায্যকারী হয়ে থাকব। ’ (আবু দাউদ, আহমদ, দারেমী)

এ কারণেই রাসূল আকরাম (সা.) উল্লিখিত দোয়ায় বলেছেন, ‘হে আল্লাহ নেক আমলের মাধ্যমে আমাকে দিনের সূচনা করার তাওফিক দান করুন, যাতে সারাদিন আপনার নুসরত ও নিরাপত্তার মধ্যে থাকতে পরি। ’

দিনের শুরুতে আল্লাহর প্রতি নিবিষ্ট হও: 
এই দোয়ার মাধ্যমে রাসূল আকরাম (সা.) উম্মতকে দিনের প্রথম অংশ থেকে আল্লাহ তায়ালার প্রতি নিবিষ্ট হতে উৎসাহিত করেছেন, কেননা ফজর নামাজ তো অবশ্য পড়বে, তারপরও কয়েক রাকাত এশরাকও আদায় করে নাও। কিছুক্ষণ কোরআন শরিফ তেলাওয়াত কর, কিছুক্ষন জিকির আজকার কর, তাসবিহ-তাহলিল পড়, দোয়া-মুনাজাত কর, আল্লাহ তায়ালার জিকির যে কোনো সময়ই ফজিলতপূর্ণ, তবে সকালের জিকিরের রয়েছে আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদা।

প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো। কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়। ’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস নং : ৬২২০)

news24bd.tv/আলী