সূরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরা। সূরা নাসের পরে হিজরতের আগে মক্কার প্রথম যুুগে সূরা ইখলাস অবতীর্ণ হয়। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৪, রুকু সংখ্যা ১।
ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য।
শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়। যে ব্যক্তি এ সূরাটি পাঠ করবে ও এর মর্মার্থের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে নিশ্চিত শিরক থেকে মুক্তি লাভ করে নিরেট তাওহিদবাদী হয়ে যাবে এবং আল্লাহর মুখলিস বান্দায় পরিণত হবে।এ সূরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ তাআলা নিজের পরিচয় তাঁর হাবিবকে দিতে বলেছেন। বন্ধুর পরিচয় বন্ধু দেওয়ার মাধ্যমে বন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বও প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে মাত্র ৫ ভাগ এলাকায়
রাজধানীর কমলাপুরে বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট
অপহরণের পর গৃহবধূকে রাতভর ধর্ষণ, ভিডিও ভাইরালের হুমকি
বাউফলে ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মিলল ৬টি বাঘের বাচ্চা
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, একদা নাজরানের সাতজন খ্রিস্টান পাদ্রি মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলে, আমাদের বলুন, আপনার রব কেমন? তিনি কিসের তৈরি? মহানবী (সা.) বলেন, আমার রব কোনো জিনিসের তৈরি নয়। তিনি সব বস্তু থেকে আলাদা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা উল্লিখিত সূরা নাজিল করেন।
বিষয়বস্তু : সূরা ইখলাসের চারটি আয়াতে চারটি বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ একক ও অনন্য। দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি অমুখাপেক্ষী। তৃতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, জন্মের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই এবং চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি অতুলনীয়। চারটি আয়াতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।
news24bd.tv আহমেদ