পানি দ্ধন্ধে চীন-ভারত

পানি দ্ধন্ধে চীন-ভারত

অনলাইন ডেস্ক

চীন সে দেশের ব্রহ্মপুত্র নদে বা ইয়ারলুং জাংবাও'তে বিশাল বাঁধ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানায় গত বছর। এই নদী তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যখন ভারতে প্রবেশ করে, তখন বলা হয় ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ভারত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এই বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আর অবনতি হয় চীনের।

চীনের বাঁধ দেয়া নিয়ে রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এশিয়া টাইমস। বেইজিং-এর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ঢাকা-নয়াদিল্লি। কিন্তু সেই প্রতিবাদে জল ঢেলে দিয়েছে বেইজিং। এ বিষয়ে সুইডিশ প্রখ্যাত সাংবাদিক বার্টিল লিন্টার এশিয়া টাইমসের এক মতামতের অংশে লিখেছেন, ইয়ারলুং জাংবাও নদীর মেগা-বাঁধ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত তথ্যের ব্যাপক অভাব রয়েছে।

কিন্তু স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইয়াংসি নদীর তীরে তিনটি বড় বাঁধ নির্মিত হচ্ছে, যেখান থেকে চীন তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। চীনের এই পরিকল্পনার ফলে দেশটির সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকরা ধারণা করেন যে, ব্রহ্মপুত্রের পানি ভারত-বাংলাদেশ উভয়েরই জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অঞ্চল কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে। ভারত ও বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে রাজনৈতিক বিরোধের পরিস্থিতিতে চীন এই বাঁধ দিয়ে পানি সরিয়ে দিতে পারে। পানি নিয়ে ভারত সঙ্কটে পড়লে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

মহানবী (সা.) এর বাণীকে সত্য প্রমাণ করল বিজ্ঞান

চৌদ্দশ বছর পুর্বের নবী (সা.) এর বাণীকে মেনে নিল বিজ্ঞান

এশিয়া টাইমসে আরো বলা হয়েছে, পূর্ব নোটিশ ছাড়াই মেকং নদীতে ১১টি বাঁধ নির্মাণ করেছে চীন। ফলে মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে পানির স্তর ব্যাপকভাবে ওঠানামা করেছে। দেখা দিচ্ছে আগাম বন্যা ও ভূমিধস। আর শুষ্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট। এ নিয়ে লাউস বেইজিংকে একাধিক চিঠিতে অবগত করলেও তাতে সাড়া দেয়নি দেশটি।

চীনের এই মেগা প্রজেক্ট নিয়ে শি জিনপিং সরকার শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশের সঙ্গেও কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এমনকি পানি কিভাবে বণ্টন হবে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি দেশটির সরকার।

আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের যে ৪০০ কোটি মানুষ সামনের দিনগুলোতে পানির সম্ভাব্য সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে, তার অর্ধেকই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতোই এ ক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন ভারত ও চীন। উভয় দেশেই পানির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু প্রাপ্যতা বাড়ছে না। ফলে মাথাপিছু ভোগ কমছে। এই দুই দেশের অনেক স্থানেই বিশুদ্ধ পানির দাম এখন দুধ বা ফলের রসের চেয়ে কম

news24bd.tv/আলী