হারুনুর রশিদ(৩০) প্রেমের সময়ে কৌশলে প্রেমিকার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন। কিন্তু দুই বছরের সেই প্রেম ভেঙ্গে গেলে টাকা নিয়েও প্রেমিকার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটে।
তরুণী হারুনুকে এসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেট থেকে মুছে দিতে যোগাযোগ করলে হারুণ মোটা অংকের অর্থ দাবী করে ঐ তরুণীর কাছে। এরপর বিভিন্ন সময় ওই তরুণী তিন লাখ টাকাও দেন।
কিন্তু তারপরও ছবি এবং ভিডিও বিভ্ন্নি মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন হারুন। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।হারুনের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নামকান গ্রামে। বাবার নাম শাহাজাহান প্রামাণিক।
তিনি জানান, হারুনুর রশীদ ওই তরুণীর সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের অভিনয় করেছেন। মেয়েটির দুর্বলতার সুযোগে হারুন তার অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। নানা কারণে মানোমালিন্য হলে এখন তাদের আর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন:
চৌদ্দশ বছর পুর্বের নবী (সা.) এর বাণীকে মেনে নিল বিজ্ঞান
কালো জাদু : বাবার হাতে খুন দুই বোন
মহানবী (সা.) এর বাণীকে সত্য প্রমাণ করল বিজ্ঞান
আগের মতোই তিনি ভিডিও এবং ছবি ছড়াচ্ছিলেন ইন্টারনেটে। দাবি করছিলেন আরও টাকা। এ নিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় হারুনকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আনেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, হারুনের মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। সেটি ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এতে বোঝা যাবে, এই মোবাইল দিয়ে হারুন আর কোনো তরুণীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন কিনা।
এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মঙ্গলবারই হারুনকে আদালতে তুলবেন। আদালতে তার রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত ১১ জানুয়ারি মেয়েটি জানতে পারেন, হারুন অন্য একটি নামের ফেসবুক আইডি থেকে তার ভিডিও এবং ছবি পরিচিতদের ম্যাসেঞ্জারে পাঠাচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই তরুণী হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব মুছে ফেলার জন্য হারুন তখন তিন লাখ টাকা দাবি করেন। মানসম্মানের ভয়ে ওই তরুণী বিভিন্নভাবে টাকা ম্যানেজ করে হারুনের হাতে তুলে দেন; কিন্তু তারপরও হারুন থামেননি।
news24bd.tv/আলী