জওহরলাল নেহেরু ছিলেন সত্যিকারের পণ্ডিত ও দূরদর্শী লোক। স্বাধীন ভারতে তার সরকার কতগুলো ইনস্টিটিউট গড়ে তুললেন। যেগুলো ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) নামে পরিচিত। তিনি জানতেন, কোন দেশ যদি পৃথিবীর মঞ্চে নেতৃত্ব দিতে হয় তাহলে নিজস্ব প্রযুক্তি লাগবে।
নিজস্ব আবিষ্কার-উদ্ভাবন লাগবে। অন্যদেশের জিনিস কিনে কেতাদূরস্ত হওয়া যায়। স্বনির্ভর ও বলবান হওয়া যায় না।আইআইটিগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান কালে কালে বৃদ্ধির একটা রূপরেখা ছিলো।
মাকাল ফল থেকে কমলা বের হয় না—পণ্ডিত নেহেরু সেটা জানতেন। সে অনুযায়ী ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। অন্যান্যরা সেটাকে ক্রমাগত এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। স্বাধীন বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপ্রধান, এতো গভীরতা নিয়ে ভাবেনি। তাদের ভাবনা ছিলো শুধু দল ও ক্ষমতা!
কারাগারে পাঁচ বছর ধরে তুষারকে একান্তে সঙ্গ দিয়ে আসছে সুইটি
আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানরা কী করেন? —শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্ররাজনীতির শিখায় ঘি ঢেলে আসেন। কমিটি গঠন করেন। বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন শেষে ফুলের তোড়া গ্রহণ করেন। শিক্ষক ও ছাত্ররা পাল্লা দিয়ে নেতা-নেত্রীর পদলেহন করতে থাকে। কেউ হেলিকপ্টর চড়ে, কেউ গাড়িতে। ছাত্র-শিক্ষক-নেতার এই ত্রিভূজীয় সরল-গরল চক্রে আমাদের ভবিষ্যত! এই হলো আমাদের নেতৃত্বের দূরদর্শিতা।
সুতরাং ভারত এখন আমাদের দেশে এসে গ্যাস ফিল্ড করবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। পানি তুলে দিবে। ভ্যাকসিন দিবে। আবার ওদের দক্ষ লোকরা চাকরি করে সহস্র কোটি টাকা নিয়ে যাবে। —এতে সম্ভবত অবাক হওয়ার কিছু নেই। যাদের মাথা আছে তারাই নেতৃত্ব দিবে। আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে।
আমরা যদি মাথা তৈরি না করে ছাতা তৈরি করি, তাহলে সে দোষ তো অন্যদের না!
news24bd.tv তৌহিদ