করোনার সংক্রমণ শূণ্যে নামায় সৈকতে যেতে বাধা নেই অস্ট্রেলিয়ানদের

করোনার সংক্রমণ শূণ্যে নামায় সৈকতে যেতে বাধা নেই অস্ট্রেলিয়ানদের

অনলাইন ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের দুটি রাজ্য করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে পেরে তাদের সীমানা পুনরায় খুলবে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং কুইন্সল্যান্ড যথাক্রমে রোববার এবং সোমবার তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়।  

গত ১১ দিন যাবৎ নিউ সাউথ ওয়েলসে করোনার কোন রোগী পাওয়া না যাওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়।

বড়দিনের উৎসবের আগে প্রায় ১৮০টি করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় সিডনিতে। যে কারণে পুরো দেশজুরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।  

বৃহস্পতিবার কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার আননাস্টেসিয়া প্যালাস্কজুক বলেছেন, "নিউ সাউথ ওয়েলস পুরো কৃতিত্ব পাবে। " 

মহামারির সময়ে সিডনি বাকি অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।

মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ২২ হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। এদের মধ্যে মাত্র ৯০৯ জন মৃত্যু বরণ করেছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় যা অনেক কম।

বিশেষত সাম্প্রতিক মাসগুলিতে অস্ট্রেলিয়া করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে দ্রুত এবং আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই মাসের শুরুতে কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনে মাত্র একটি রোগী সনাক্ত হলে তিন দিনের জন্য লকডাউন করেছিলো পুরো শহর।

এই সপ্তাহে, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের সাথে ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করে। কারণ, কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম করোনার সবচেয়ে সংক্রামক রূপটি ধরা পড়ে।

মানুষ পুনরায় একত্রিত হয়ে আনন্দ করবে:

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিজ বেরেজিক্লিয়ান বৃহস্পতিবার রাজ্য সীমান্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, "আমি আশা করি এটি মানুষের জন্য অনেক আনন্দ ও স্বস্তি বয়ে আনবে। মানুষ পুনরায় একত্রিত হবে। "


চসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা

সালমান খান ও জ্যাকুলিনের ঘনিষ্ঠ ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া, হুঁশিয়ারি বার্তা বলছে চীন

নির্মাণাধীন মসজিদ গুড়িয়ে দিল ইসরাইলি বাহিনী


বেরেজিক্লিয়ান এর আগে অন্যান্য রাজ্যে সীমান্ত বন্ধ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। যুক্তি দিয়েছিলেন যে তারা একটি বৈষম্যমূলক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে অনেক নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা সিডনির হটস্পট থেকে বহুদূরে বসবাস করেন।

তার রাজ্য ডিসেম্বর মাসে আক্রমণাত্মক কনট্রাক ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে শহরের দ্রুত বর্ধমান মহামারি রোধ করতে সক্ষম হয়েছিল। মার্কেটে এবং গণপরিবহণে দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া করোনা ভাইরাসের প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া নিয়েছে এমন দেশগুলির তালিকায় অষ্টম স্থানে উঠে আসে। লুই ইনস্টিটিউট থিংক ট্যাঙ্ক এর তালিকার শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।

সূত্র: বিবিসি

news24bd.tv আয়শা