এক তান্ত্রিকের পরামর্শে নিজের দুই কন্যাকে হত্যা করেছে এক দম্পতি। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মদনাপল্লি এলাকা থেকে পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে। গত ২৪ জানুয়ারি, রবিবার এই ঘটনা ঘটে।
দুই তরুণীর নাম আলেখ্য (২৭) এবং দিব্যা (২৩)। পুলিশ এসে দেখে, তারা দু’জনেই লাল শাড়ি পরা অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন। তাঁদের মাথা থেকে গলগল করে রক্ত বেরচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ডাম্বেল দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে তাদের। মেয়েদের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা-মা হলেন ভি পদ্মজা এবং ভি পুরষোত্তম নাইডু।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ওই দম্পতির বাড়ি পৌঁছালে তাদেরকে মেয়েদের দেহের কাছে শান্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় অদ্ভুত ব্যবহার করেছিলেন পদ্মজা এবং নাইডু।
এসময় বাবা ডাঃ ভি পুরুষোত্তম শান্ত হয়ে গেলেও তার স্ত্রী পদ্মজা অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। পদ্মজা গান গাইতে শুরু করে ও নাচতে থাকে। তারপর সে চিৎকার করে বলতে শুরু করে চীন থেকে করোনা ভাইরাস আসেনি, এটা ভগবানের সৃষ্টি, যাতে কলিযুগের সব খারাপ জিনিসের অবসান হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের শারীরিক পরীক্ষার সময় একাধিক অসংলগ্ন কথাবার্তা পদ্মজা বলেছেন। তারা দাবি করেন, একদিন সময় পেলেই মৃত মেয়েদের বাঁচিয়ে তুলতে পারবেন তারা।
ট্রাম্প ছয় মাস পর বিদায় নিলে বিচারের ফলটা ভিন্ন হতো: বাইডেন
নিজেকে কারিনা কাপুর দাবি করলেন সাবিলা নূর!
বিরাট কোহলি ও তামান্না ভাটিয়াকে আইনি নোটিশ
তারা দু’জনেই উচ্চশিক্ষিত এবং শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। পুরষোত্তম মেয়েদের একটি সরকারি কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল এবং রসায়নের শিক্ষক। পদ্মজা দাবি করেন তিনি অঙ্কে সোনার মেডেল পেয়েছিলেন। বর্তমানে আইআইটি-র একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়ান।
যদিও উচ্চশিক্ষা ওই দু’জনের মনের মধ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা অন্ধবিশ্বাসকে দূর করতে পারেনি। দুই মেয়েকে খুনের আগে তাঁদের বাড়িতে পুজো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতি মনে করতেন, তাঁদের মেয়েদের মধ্যে কোনও অশুভ শক্তি বাসা বেঁধেছে।
উচ্চ ডিগ্রিধারী দুই পরিণত বয়স্কের কথাবার্তা শুনে পুলিশের আশঙ্কা, কোনও তান্ত্রিকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারেন তারা।
news24bd.tv / নকিব