মানুষের ব্রেইন হলো শরীরের সবচেয়ে জটিল অংশ। শরীরের অন্যান্য অংশ নিয়ে বিজ্ঞানীরা যতোটুকু জানতে পেরেছে, ব্রেইন নিয়ে ততোটা জানা হয়নি এখনো। মগজে দুই ধরনের কোষ থাকে। একটি হলো নিউরণ অন্যটি হলো গ্লিয়া।
নিউরণই আমাদের মধ্যে খুব বেশি পরিচিত।মহাবিশ্বের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে যতোগুলো নক্ষত্র আছে, একজন মানুষের মগজে ততগুলো নিউরণ আছে। সংখ্যায় প্রায় একশো বিলিয়ন! প্রায় একশো বিলিয়ন নিউরণ একে অন্যের যাথে যুক্ত হয়ে এক অসম্ভব জটিল নেটওর্য়াক তৈরি করেছে। —অবিশ্বাস্য!
শরীরে বিভিন্ন ধরণের কোষ থাকে।
ব্রেইনের একটা অংশের নাম হলো হিপোক্যাম্পাস। এই যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাই, বিভিন্ন লোকেশন মনে থাকে এবং সে অনুযায়ী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারি (নেভিগেশন), সেটা প্রসেসিং হয় এই হিপোক্যাম্পাসে। হিপোক্যাম্পাসে কিছু ব্রেইন সেল আছে যারা জিপিএস-এর মতো কাজ করে। একসময় ধারণা করা হতো মানুষের এই নেভিগেশনের ক্ষমতাটা আপনা-আপনি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে হিপোক্যাম্পাসে এই নেভিগেশন মেমরি স্টোর থাকে এবং প্রসেস হয়। — ব্রেইনের অভ্যন্তরীণ জিপিএস। এই আবিষ্কারের জন্য ২০১৪ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিলো।
নারীদের চেয়ে পুরুষের ব্রেইন ভালো—এটা সার্বজনীন একটা মিথ এবং প্রচলিত কথা। কোনো ভিত্তি নেই।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারো যৌন হয়রানির অভিযোগ
ট্রাম্পের গোপন বিষয়ে ‘বোমা’ ফাটালেন স্টর্মি
পর্নো তারকার পর মুখ খুললেন ট্রাম্পের প্লেবয় সুন্দরী
ট্রাম্পকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক রুশ মেয়ে পাঠানো হতো, ‘ভিডিও ধারণ’!
মানুষের ব্রেইন একসাথে একাধিক কাজ (মাল্টিটাস্ক) করতে পারে না। আমাদের ব্রেইন মাল্টিটাস্কের জন্য ডিজাইন করা হয়নি। যখন একাধিক কাজ আমরা সমান্তরালে করতে যাই, তখনই ফোকাস কমে যায়। কাজ স্লো হয়ে যায়। ভুল হয়। পৃথিবীতে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনা হয় শুধুমাত্র ড্রাইভ করার সময় মানুষ কথা বলে কিংবা ফোন চেক করে বলে! এমনকি ড্রাইভ করার সময় অন্যমনস্ক হলেও দুর্ঘটানার সম্ভাবনা থাকে।
ব্রেইন হলো ক্রস ফাংশন করে। অর্থাৎ, ব্রেইনের ডান দিকের অংশ, শরীরের বাম অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর বাম অংশ, শরীরের ডান অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, মানুষের যদি ডান হাত, ডান পা প্যারালাইজড হয়ে যায় তাহলে ধারণা করা যায় ব্রেইনের বাম অংশ স্ট্রোক করেছে!
ব্রেইন সুস্থ রাখার জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং ব্যায়াম। বিভিন্ন স্টাডি বলে, নতুন নতুন বিষয় শিখলে ব্রেইনের কিছু রোগ সহজে হয় না। মানুষের বয়সের সাথে সাথে কিছু ব্রেইন ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন, এলজাইমার ডিজিজ! মানুষ বেশিদিন বাঁচলে, সে একটা ভ্রষ্ট স্মৃতি নিয়ে বাঁচতে হয়! —দুর্ভাগ্য!
মগজহীন প্রাণীর কথা উঠলে প্রথমেই জেলিফিসের কথা আসে। ব্রেইন না থাকলেও জেলিফিস তার জগতে সুন্দর চলছে! প্রাণীজগতে সবচেয়ে উন্নত মগজ নিয়ে মানুষই আসে। তাই সম্ভবত মানুষই সবচেয়ে হিংস্র, সবচেয়ে দয়ালু এবং আবেগী প্রাণী। (ফেসবুক থেকে)
news24bd.tv তৌহিদ