মাঘের শীতে কাঁপবে দেশ

মাঘের শীতে কাঁপবে দেশ

অনলাইন ডেস্ক

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে প্রকৃতি। ঘর থেকে বাইরে বের হলে গা শিউরে ওঠে। কারণ শীত এসেছে। ভোরের শিশির সূর্যের আলোতে মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে, আসছে শীত।

শীত মৌসুম বিদায়ের আগে আরেক দফা হাড় কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, মাঘ মাসের মাঝামাঝি চলছে। ইতোমধ্যে শীতের অনুভূতিও বেড়েছে।

বিদায়ের আগে আরেকদফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী, রংপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। একইসঙ্গে মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা হবে।


প্রতিদিন সকালে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি

মৌমাছি নিয়ে কুরআনের বাণীকেই মেনে নিলো বিজ্ঞান

চৌদ্দশ বছর পুর্বের নবী (সা.) এর বাণীকে মেনে নিল বিজ্ঞান

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই শৈত্যপ্রবাহ চলতি মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুরের রাজারহাটে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।

গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ জানুয়ারি বদলগাছিতে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা ও শীতের অনুভূতি: আবহাওয়াবিদেরা বলেন, তাপমাত্রা কমলেই সব ক্ষেত্রে শীতের অনুভূতি সমানভাবে তীব্র না-ও হতে পারে। যেমন কোনো একটি দিনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান যত বেশি হবে, শীতের অনুভূতি তত কম হবে। দিনের বেলায় সূর্যালোক থাকা না-থাকাও শীতের অনুভূতিতে পার্থক্য এনে দেয়। একই তাপমাত্রায় শহর ও গ্রামে শীতের অনুভূতিতে পার্থক্য হয়। শহরে কম ও গ্রামে বেশি শীত অনুভূত হয়।

news24bd.tv/আলী