অটোপাস নিয়ে অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো এগিয়ে যাও

অটোপাস নিয়ে অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো এগিয়ে যাও

Other

যারা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছো তাদের সবার প্রতি অভিনন্দন ও ভালোবাসা রইলো। তোমরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারো, ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাও সেই শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।

তোমাদের উদ্দ্যেশ্যে বললো, লোকজন অটোপাস নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, তোমাদের নিয়ে আজে বাজে কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিটকারি করছে। ফেসবুকে ট্রল করছে তাদের কথায় কান না দিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এগিয়ে যাও।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য মন দিয়ে লেখাপড়া করো।

এসব সমালোচনার জন্য মন খারাপ করার দরকার নাই। কেননা তোমরা করোনা ভাইরাসের মতো দেশীয় এবং বৈশ্বিকভাবে এক মহা দুর্যোগের শিকার। এর জন্য তোমরা নিজেরা দায়ী নও।

  আর তোমাদের রেজাল্ট তো জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তৈরী হয়েছে।

হীনমন্যতায় ভোগার কারণ নেই, তোমাদের জীবন শুধু এইচএসসিতে সীমাবদ্ধ নয় জীবনের বড় অধ্যায়গুলো সামনে পরে আছে। এদেশে  মানুষ রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পরে রক্তাক্ত হতে দেখেও হাসে,, তামাশা করে।   তাই তাদের কথায় নিজেদের মনোবল ভেঙ্গে ফেলবেনা।

যারা অটোপাস বলে ছেলেমেয়েদের মনে আঘাত দিয়ে কথা বলছেন তারা কি চান? কি করলে ভালো হতো!! আপনাদের সমালোচনা বন্ধ করতে সরকারের কি উচিত ছিলো করোনা পরিস্থিতি বা লকডাউনের মধ্যে এপ্রিল, মে, জুন বা জুলাই আগষ্টে  প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে আনা।

আর এদের পরীক্ষার নেয়ার জন্য অভিভাবক, শিক্ষক, ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশসহ সারাদেশে আরও ৫ লাখ লোকজন এক জায়গায় করা? নাকি পরীক্ষা দিয়ে জনসমাগম হলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে কোন ভয়াবহ পরিস্থিতি হলে, আক্রান্তের হার বাড়লে, কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মারা গেলে আপনাদের ভালো লাগতো??

আরও পড়ুন:


শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই, তাই ধর্ষককে মুক্তি দিল আদালত

আমিরাতে ঢুকতে পারলো না আফ্রিদি

দেশের সব খাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

কলারোয়ায় বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন


নাকি ১ বছর পর পরীক্ষা নিয়ে তাদের এক থেকে দেড় বছর শিক্ষাজীবন পিছিয়ে দেয়াটা যৌক্তিক হতো! ছেলেমেয়েদের এভাবে কটাক্ষ করে কথা না বলে, মনে কষ্ট না দিয়ে মনোবল ভেঙ্গে  না দিয়ে  তাদের ভবিষ্যতের উৎসাহ দেয়া যায়। আমাদের দেশের সারাজীবন মানুষ সব কিছুতে নেগেটিভলি বলে অভ্যস্ত। এবং একটু খারাপ রেজাল্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অপমান করতে অভ্রস্ত।

আর এ কারণেই পরীক্ষায় ফেল করলে বা আশানুরুপ নম্বর না পেলে আমাদের দেশের অনেক ছেলে মেয়েরা লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করে।    বিগত সময়ে অনেক ছেলে মেয়ে এভাবে জীবন দিয়েেছ। এগুলা কি খুব ভালো!!

এবারে পরীক্ষার্থী কয়েক লাখ ছেলে মেয়ে আমাদের কারো না কারো ভাই বোন, সন্তান বা পরিবারের সদস্য। এই ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঠাট্টা মসকরা না করলে কি হয়না?

২০২০ এর এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা তো চুরি বা ডাকাতি করেনি, কিংবা কোন অপরাধ করেনি যে তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে হবে। তাদের ছোট করে অপমান করে কথা বলার সময় তাদের বয়স এবং ইমোশান কে মাথায় রাখা উচিত।

আতিকা রহমান, সাংবাদিক

news24bd.tv আহমেদ