স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যায় আদালতে জবানবন্দি

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যায় আদালতে জবানবন্দি

Other

খুলনার দৌলতপুরের বণিকপাড়ায় স্কুলছাত্রী অঙ্কিতা দে ছোয়া (৯) কে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সন্দেহজনক গ্রেপ্তার হওয়া প্রীতম রুদ্র (২৭)। তিনি বণিকপাড়া বীণাপানি ভবনের মালিক প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে। অঙ্কিতার লাশ ওই ভবনের নীচতলার বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার বিকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সারওয়ার আহমেদের আদালতে নেওয়া হলে প্রীতম রুদ্র দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।  

জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বনিকপাড়া মৌচাক টাওয়ারের সামনে থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা দে নিখোঁজ হয়। সে পাবলা বনিকপাড়া এলাকার সুশান্ত দে’র মেয়ে। পুলিশ জানায়, শীতে কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অঙ্কিতাকে বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় প্রীতম।

সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার দেয় অঙ্কিতা। ধস্তাধস্তির মধ্যে অঙ্কিতার মাথা দেওয়ালে আঘাত করে প্রীতম।  

আরও পড়ুন


চাচী-ভাতিজার পরকীয়া প্রেম; জানাজানির ভয়ে দু'জনেরই আত্মহত্যা

দেশের সব খাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

কলারোয়ায় বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

নলছিটি পৌরসভায় বিএনপি ও আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন


এতে মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হলে অঙ্কিতা অচেতন হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় প্রীতম তাকে ধর্ষণ করে। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির নীচের সিড়ি ঘরে প্লাস্টিকের ব্যাগের আড়ালে লুকিয়ে রাখে। চারদিন পর সেখানে গন্ধ বের হলে লাশটি সরিয়ে নীচের তলায় বাথরুমের মধ্যে রাখা হয়। সেখান থেকে ২৮ জানুয়ারি পুলিশ বস্তাবন্দি অবস্থায় মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে।

শনিবার বিকালে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর প্রীতমকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কিনা তা’ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

news24bd.tv / কামরুল