বিশেষ ভিসার আওতায় হংকংয়ের প্রায় ৩ লাখ মানুষ রোববার থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। এই ভিসার আওতায় ওই সব নাগরিকরা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট দিয়েই আবেদন করতে পারবে। পরবর্তীতে তাদের স্বজনরাও এই ভিসার মাধ্যমেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাবে এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবে। খবর বিবিসির।
কিন্তু, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, তারা বিএনও পাসপোর্টকে ভ্রমণের দলিল হিসাবে স্বীকৃতি দেবে না। চীন নতুন করে কঠোর নিরাপত্তা আইন করার পরেই যুক্তরাজ্য এই ভিসা চালু করে।
যাঁরা ভিসার আবেদন ও সুরক্ষিত করেন তাঁরা পাঁচ বছর পরে নিষ্পত্তির জন্য এবং আরও এক বছর পরে ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বেইজিং আগেই যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করেছে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর জন্য।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে , প্রায় ৭ হাজার হংকংয়ের বাসিন্দা এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি পেয়েছে।
যদিও ২৯ লাখ বাসিন্দা ব্রিটেনে যেতে পারবে এই ভিসার আওতায়। যাদের আরো ২৩ লাখ স্বজন পরবর্তী ধাপে যেতে পারবে। আগামী পাচঁ বছরে প্রায় ৩ লাখ মানুষ এই ভিসা পাবে বলে ধারণা ব্রিটিশ সরকারের।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কমলাপুর স্টেশন ভাঙার অনুমোদন দিল
পাপুলের এমপিকান্ডে জড়িতদের বিচার চাই
যে আমল করলে বিশ্বনবী হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন
ইতোমধ্যেই যে ৭ হাজার হংকংয়ের নাগরিক ব্রিটেনে পৌছেঁছে তাদের বাইরের দেশে যেতে বারণ করা আছে ব্রিটিশ সরকারের আইনে। অভিবাসন আইনে তাদের প্রতি নানা দিকনির্দেশনা আছে।
জনসন আরো বলেছেন, আমরা গর্বিত যে হংকংয়ের নাগরিকদের আমাদের দেশে কাজের, বসবাসের সুযোগ দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, "আমরা গর্বিত কারণ, সাবেক ব্রিটিশ কলোনী হংয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিলো এবং আমরা বন্ধুদেরকে সম্মান জানাতে এই ভিসা চালু করেছি। যুক্তরাজ্য এবং হংকংয়ের স্বাধীনতা এবং স্বাতন্ত্র্যবোধে এটা একটা মাইলফলক হবে। "
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজান বলেছেন, এই ভিসা কার্যক্রম হংকং এবং চীনের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করবে। এটা সম্পূর্ণভাবে চীন এবং হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ সরকার বারবারই অস্বীকার করছে যে তারা ২৪ বছর আগেই এখান থেকে বিদায় নিয়েছে। চীন বিএনও ভিসা স্বীকৃতি দেবে না রোববার থেকে। তার মানে এটা স্পষ্ট নয় যে এই বিষয়ে আদৌ কি ঘটবে।
হংকংয়ের বাসিন্দারা তাদের আইডি কার্ড অথবা হংকংয়ের পাসপোর্ট ব্যবহার করে শহরের বাইরে যায়। যদি তারা চীনের মূল ভূখন্ডে প্রবেম করে তাবে তাদের ফেরত আসার অনুমতি লাগে।
যেটা চীনের অভিবাসন অফিস থেকে ইস্যু করে নিতে হয়। নতুবা তারা পুরোপুরি বিদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করতে হবে। অথবা তাদের প্রবেশ করতে হলে বিদেশীদের মত করে করতে হবে।
তাই বিএনও পাসপোর্ট একমাত্র তারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে ব্যবহার করবে অথবা অন্য দেশ কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে।
সূত্র: বিবিসি
news24bd.tv আয়শা