মোহাম্মদপুরে ধর্ষণ মামলা: সেই তরুণীর আরেক বন্ধুর মৃত্যু

মোহাম্মদপুরে ধর্ষণ মামলা: সেই তরুণীর আরেক বন্ধুর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মৃত সেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আরেক বন্ধু মারা গেছেন। রাজধানীর আরেকটি হাসপাতালে ওই তরুণের মৃত্যু হয়। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর সিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইউল্যাব ছাত্রীর বন্ধু আরাফাতের।

এদিকে, মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা মামলা করলেও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলছেন, ধর্ষণের তেমন কোনো আলামত তিনি পাননি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সেলিম রেজা জানান, বলপ্রয়োগ বা ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি।

তবে, ‘অতিরিক্ত মদপানে’ ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আরও পড়ুন: 


সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

৭ নায়ক ৭ নির্মাতার ১ ছবি

ধর্ষিতাকে লাখ টাকা জরিমানা, আ.লীগ নেতা জেলে

রাজধানীতে ফের ধর্ষণের পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু


 

আরাফতের মৃত্যুর ব্যাপারে পুলিশ জানায়, তার মৃত্যুর খবর আজ সোমবার পাওয়া গেছে। আরাফাতকে কোথায় দাফন করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তরুণীর বাবার করা মামলায় মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাদ আলম তাফসীর নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে অধিক মাত্রায় মদপান করান।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থবোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার তরুণী মারা যান।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

news24bd.tv তৌহিদ