কেন মিয়ানমারে হঠাৎ সামরিক অভ্যুত্থান ?

Other

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান নতুন কিছু নয়। ৬০ বছরের বেশি সময় দেশটির ক্ষমতায় ছিলো জান্তা সরকার। তবে সেনাবাহিনীর প্রতি অং সান সু চির নতজানু নীতির পরও কেন মিয়ানমারে হঠাৎ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলো তা জানতেই কৌতুহলী অনেকেই।

কয়েক দশক পর ২০১৫ সালে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় ফিরেছিলো মিয়ানমার।

তবে ক্ষমতার নেপথ্যে থেকে যায় দেশটির প্রবল শক্তিধর সেনাবাহিনী। তাইতো প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দী থাকা ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি -এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি ক্ষমতায় ফিরলেও, মেরুদণ্ড- সোজা করে দাঁড়াতে পারেননি। ধরে রাখতে পারেনি বিশ্বজোড়া শান্তির প্রতীক, গণতন্ত্রের আইকনে পরিণত হওয়ার সুনাম এবং স্বীকৃতিও। এমনকি সারাবিশ্বকে যখন কাঁদিয়েছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ, তখনো তার কণ্ঠ ছিলো রুদ্ধ।

আরও পড়ুন:


ধর্ষিতাকে লাখ টাকা জরিমানা, আ.লীগ নেতা জেলে

রাজধানীতে ফের ধর্ষণের পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু

খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুকে একি করলেন ‘নানা’

ছুটিতে গিয়ে যারা সৌদি ফেরেনি তাদের জন্য দুঃসংবাদ


 

তবুও শেষ রক্ষা হয়নি এই বেসামরিক নেত্রীর। বরং শেষ পর্যন্ত তার আন্তর্জাতিক মর্যাদা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীই তাকে ফের ফেরত পাঠিয়েছে বন্দিদশায়। তবে সুচির আগের বন্দীত্বে তার প্রতি ছিলো বিশ্ববাসীর ভালবাসা, শ্রদ্ধা আর মায়া। যেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বজনমনে স্থান করে নিয়েছে এনএলডি নেত্রীর প্রতি ঘৃণা, ধিক্কার আর অভিশাপ।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের ঝানু রাজনৈতিক সেনাবাহিনীর রাজনীতির কৌশল হয়তো এখনো বুঝে উঠতে পারেননি সু চি। কারণ তিনিই ছিলেন মূলত সামরিক বাহিনীর হাতের পুতুল। যেমনি নাচিয়েছেন তেমনি নেচেছেন। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির পর থেকেই বেশির ভাগ সময় সেনাশাসন চলেছে মিয়ানমারে।

১৯৬২ সালে বেসামরিক প্রশাসন বাতিল করেন জেনারেল নি উইন। পরের ২৬ বছর সরকার পরিচালনা করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন নি উইন।   আর ২০১১ সালে জান্তা সরকারের নেতা জেনারেল থান সুয়ে পদত্যাগ করেন। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের কাছে  ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।

news24bd.tv তৌহিদ