সেই ছাত্রী মৃত্যুর একদিন পর যে তথ্য দিলেন চিকিৎসকরা

সেই ছাত্রী মৃত্যুর একদিন পর যে তথ্য দিলেন চিকিৎসকরা

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়নি বলে ছাত্রী মারা যাওয়ার একদিন পর বলেছেন চিকিৎসকেরা।

আজ সোমবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্ত করে এ মন্তব্য করেন চিকিৎসকরা।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঠিক কী কারণে ওই ছাত্রী মারা গেছেন, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়েকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশ মদের উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার রেস্তোরাঁয় তাদের যে বন্ধু মদ নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি নিজেও মারা গেছেন।

ফলে এখনই জানা যাচ্ছে না, ওই মদ তারা কোথা থেকে কিনেছিলেন।

আরও পড়ুন:


সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

৭ নায়ক ৭ নির্মাতার ১ ছবি

ধর্ষিতাকে লাখ টাকা জরিমানা, আ.লীগ নেতা জেলে

রাজধানীতে ফের ধর্ষণের পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু


 

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি আসামি করেন মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, নুহাত আলম তাফসীর, আরাফাত ও নেহাকে। পুলিশ আরাফাতকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে শোনেন, তিনিও ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী তার বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তারা পরে উত্তরায় তাদের আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় দেখা করেন। অসুস্থ বোধ করায় দুজন আগেই বাসায় চলে যান।

ছাত্রী ও তার বন্ধু সেই রাতে তাদের আরেক বন্ধুর বাসায় থেকে যান। ওই বাসায় গিয়ে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। গত শুক্রবার বিকেল থেকে ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রথমে বন্ধুবান্ধবেরা তাকে ইবনে সিনায় নিয়ে যান। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ফাঁকা না থাকায় মেয়েটিকে পরে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার দুপুরে মারা যান তিনি।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা বলেন, আপাতদৃষ্টে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কোনো আলামত তারা পাননি। সুরতহালে বিষাক্ত মদের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে পরীক্ষার জন্য রক্তও নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না, নিশ্চিত হতে কিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের এই চিকিৎসক।

news24bd.tv তৌহিদ