মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআনের একটি বরকতময় বাক্য ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’। এটি কোরআনের স্বতন্ত্র আয়াত। এটি এমন ফজিলতপূর্ণ আয়াত, যা পাঠ করার মাধ্যমে ওই কাজে বরকত ও পূর্ণতা আসে।
সব ভাল কাজের আগে বিসমিল্লাহ পড়ার নির্দেশ রয়েছে।
তবে আল্লাহর দুটি গুণবাচক নাম সংবলিত এই বাক্যটিতে সূরা তাওবা ছাড়া কোরআনের সব সূরার শুরুতে আছে।কোরআনুল কারীমের ৯ম সূরা আত-তাওবাহ্। এই সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১২৯ টি। তওবা অর্থ ক্ষমা।
সূরা তওবা’র বৈশিষ্ট্য
এর শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা হয় না। কারণ কোরআন শরীফের বিভিন্ন অংশ ২৩ বছরের দীর্ঘ পরিসরে অবতীর্ণ হয়েছিল। কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সূরাও ভেঙে ভেঙে অবতীর্ণ হতো। জিব্রাইল (আ:) তা কোথায় বসাতে হবে, তা বলে দিতেন। যখন বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হতো তখন বোঝা যেত, আগের সূরার অবতরণ শেষ হয়েছে। কিন্তু সূরা তওবা অবতরণে কোনো বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হয়নি এবং রাসুল (সা:) ও তা লিখে যেতে নির্দেশ দেননি। এই অবস্থায় রাসুল(সা:) মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তিতে খলীফা ওসমান গনী (রাঃ) বিসমিল্লাহ দেখতে না পেয়ে একে অন্য সূরার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক বাজারে টানা ৯ মাস ধরে বাড়ছে এলপিজির দাম
দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও রক্ষা পায়নি স্কুলছাত্রী
‘ককটেল পার্টি’ থেকে ফিরে তিনজনের মৃত্যু, অসুস্থ্য আরও কয়েকজন
অনেকে একে সূরা আনফালের অংশ মনে করেন। তাই আয়াত-সংখ্যার দিক দিয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেয় সাবধানতার খাতিরে কোরআন সংকলনের সময় একে সূরা আনফালের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।
যেহেতু অবতরণের সময়ই এর শুরুতে বিসমিল্লাহ ছিল না, তাই বিজ্ঞ আলেমদের বক্তব্য হলো, কেউ যদি সূরা আনফালের পরে সূরা তওবা পড়ে, তাহলে সে বিসমিল্লাহ পড়বে না। তবে কেউ যদি পরম্পরাহীনভাবে সূরা তওবাই প্রথমে পড়ে, তাহলে বিসমিল্লাহ জুড়ে নিবে। অনেকে বিসমিল্লাহর বদলে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম পড়ে থাকেন, যার কোনো ভিত্তি কোনো বিশুদ্ধ হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়।
news24bd.tv আহমেদ