মেধা যাচাই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়

ফাইল ছবি

মেধা যাচাই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়

Other

রেজাল্টে গুরুত্ব কমিয়ে, ভর্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাই করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এবছরের এইচএসসি ফল বিবেচনায় বাড়তে পারে ভর্তি আবেদনে গ্রেড পয়েন্টের চাহিদাও।

এদিকে, করোনা প্রেক্ষাপটেও গুচ্ছে না গিয়ে ঐতিহ্য ধরে রাখতে পৃথক পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অনড় ৭৩ এর অধ্যাদেশে চলা চার বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ও।


 
করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিক পেরোলো শিক্ষার্থীরা। এবার, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধের পালা। জেএসসি ও এসএসসি বিবেচনায় করা মূল্যায়নের রেজাল্টে জিপিএ বেড়েছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর। ২০১৯ এর ৪৭ হাজার জিপিএ-৫ এবছর দেড় লাখের বেশি।
তাই, বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে ভর্তি প্রক্রিয়ায়।

রেজাল্টে গুরুত্ব কমিয়ে, স্বল্প নম্বরে পরীক্ষার কথা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানরা। অনুষদ ও বিভাগ ভেদে ভর্তি আবেদনের যোগ্যতায় বাড়তে পারে জিপিএ চাহিদাও। সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, সাবজেক্ট বা পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোন পরিবর্তন হবে না। রেজাল্টের কারণে আবেদনকারীর সংখ্যা অতিরিক্ত হলে সে সময় অন্য কোন উপায় খুঁজতে হতে পারে।
 
এদিকে, করোনা পেক্ষাপটেও গুচ্ছ পরীক্ষায় রাজি নয় ৭৩ এর অধ্যাদেশে চলা চার বিশ্ববিদ্যালয়। আইনী সীমাবদ্ধতা আর ঐতিহ্য রক্ষায় পৃথক ভাবেই আয়োজন করতে চায় ভর্তি পরিক্ষা।

আরও পড়ুন:


রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকবে আজ

রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ

অন্যের ক্ষতির জন্য খুঁড়ে রাখা গর্তে নিজেকেই পরতে হয়

এখনকার বাচ্চাদের ভাবনা


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার বলছেন, ৫০ বছরে আমাদের ভর্তি পরীক্ষায় কোন অনিয়ম নেই। আমরা এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই। করোনার প্রকোপ কমলে স্বশরীরেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।

সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে বুয়েটের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বাকিরা। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে ইচ্ছুক। তবে অনেকটাই নির্ভর করছে বুয়েটের উপর। তাদের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।  

করোনা প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের সংকট বিবেচনায় সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে আনতে এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে ইউজিসি। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো গুচ্ছ পদ্ধতিতে হলে চাপ অনেকটাই কমে যেত। গুচ্ছ পরীক্ষা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান জানিয়েছে সরকারও।

news24bd.tv আহমেদ