সেনা আটকের পরে কোথায় সু চি ?

সেনা আটকের পরে কোথায় সু চি ?

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনারা অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখল করেছে। অং সান সু চিকে আটক করার পর কোথায় রাখা হয়েছে তা এখনো জানা যায় নি। ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এবিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। খবর রয়টার্সের।

 

সেনাবাহিনীরা সু চিসহ প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে। সু চিসহ অন্যদের মুক্তি দেওয়ার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি।  

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবারে এবিষয়ে আলোচনা করে বিশ্বব্যাপী জোরালো আওয়াজ তোলার দাবি করবে।

নোবেল জয়ী সু চি এবং অন্যদের সেনাবাহিনী আটক করে সোমবার ভোররাতে।  

গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন দল এনএলডি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করে। যদিও, সেনাবিাহিনী এই ফলাফল প্রত্যাখান করে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। এমনকি গতকাল (সোমবার) মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সংসদ আসন বসার কথা ছিল।  

সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে জেনারেল মিন আং হেলিংকে দায়িত্ব দিয়েছে। এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি কেরেছে। দারিদ্র পীড়িত এই দেশটি কয়েক দশকের সামরিক শাসনের পরে গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিল।  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এটা মিয়ানমারের স্পষ্টত গণতন্ত্রে পথ থেকে সরে যাওয়া এবং আইনের শাসনের ব্যতয় ঘটা। তিনি আরো বলেছেন যে, মার্কিন প্রশাসন এবিষয়ে নজর রাখছে।  


মেধা যাচাই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়

রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকবে আজ

রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ

অন্যের ক্ষতির জন্য খুঁড়ে রাখা গর্তে নিজেকেই পরতে হয়


বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরে মিয়ানমারই প্রথম ইস্যু যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী শত্রুমিত্রুদের চ্যালেঞ্জ করে দেখাতে হবে। এমনকি যখন চীনের প্রভাব বাড়ছে এশিয়াতে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি একলা চল রে তে চলত।  

অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে এবং সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে দিতে আহবান জানিয়েছে।  

রাতে কারফিউ জারি হয়। রাস্তায় রাস্তায় সেনারা টহল দেয়। নেইপিদো এবং ইয়াঙ্গুনে সেনা তৎপরতা আরো বেশি। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসলেও মা র্কেট বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে।  

ইয়াঙ্গুনের বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বন্ধ আছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকে ব্যাংক চালু হবে। গতকাল (সোমবার) ব্যাংক বন্ধ ছিল।   

সূত্র: রয়টার্স থেকে অনুবাদকৃত

news24bd.tv আয়শা