মশা নিধনে সোমবার থেকে ক্রাশ প্রোগাম শুরু: মেয়র আতিক
সামরিক অভ্যুত্থান চীনের কাছে ‘মন্ত্রিসভার রদবদল’
অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানকে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া ‘মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল’ বলে উল্লেখ করেছে। রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যমটি সামরিক অভ্যুত্থান শব্দটিকেও এড়িয়ে যায় তাদের প্রতিবেদনে।
সিনহুয়া গতকাল মিয়ানমারে নির্বাচিত মন্ত্রীদের ও গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচিকে আটকের পর সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে ‘মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল’ বলে উল্লেখ করে। একই সঙ্গে বেইজিং মিয়ানমারের সব পক্ষকে ‘নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে’ নিতে আহ্বান জানায়।
গত জানুয়ারিতে সি চিন পিং মিয়ানমার সফর করেন। ওই সময় তিনি মিয়ানমার সরকারের উন্নয়নে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মিয়ানমারে বেল্ট ও রোড অবকাঠামো খাতে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে।
সব মুছতে চান শ্রাবন্তী, কিন্তু কেন?
সারাদেশে মদ পানে ১৫ জনের মৃত্যু, বাড়ছে উৎকণ্ঠা
স্মার্টফোনের বহুমুখী ব্যবহারে কমছে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি পিপলসের পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ক্ষমতা দখলটিকে ‘দেশটির অকার্যকর ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে সমন্বয় হিসেবে দেখা যায়।’
২০১১ সালে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার উত্তরণের আগ পর্যন্ত দেশটিতে ক্ষমতায় ছিল সেনাবাহিনী। গত নভেম্বরে দেশটিতে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসনে জিতে পুনরায় সরকার গঠন করে সু চির এনএলডি। তবে সেনাবাহিনী নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।
এর আগে, সোমবার সকালে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা গ্রহণ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের পর পরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সুচির সরকার উৎখাতের পর মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং সব ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সামরিক বাহিনী দেশটিতে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে।
এরই মধ্যে মিয়ানমারে রাজনীতিকদের আটক ও সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
news24bd.tv/আলী
পরবর্তী খবর
মন্তব্য