কতো স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকা এসেছিলাম। ভেবেছিলাম ওয়াশিংটন বা লিংকনের নামে যদি কোন ছাত্র সংগঠন থাকে যোগ দিবো। অথবা তাদের হাতে গড়া সংগঠন থাকলে সেখানে যোগ দিয়ে একদিন আমেরিকার নেতা হবো।
সুইডেনে কয়েক বছর থেকে সে স্বপ্ন পুরন করতে পারিনি।
কারণ স্টকহোম ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে কোন নেতা-ফেতার ছবি দেখি নাই। নেতাদের আগমন দেখি নাই। স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ছিলো। ভোটও দিয়েছি।কিন্তু একবার স্টুডেন্ট ইউনিয়নের এক সভায় মন্ত্রীকে এনে যেভাবে ধোলাই দিলো—দেখে রাজনীতির শখ মিটি গেছে। চিন্তা করলাম—এই দেশে নেতা হয়ে লাভ কী! পুচকে পোলাপাইনের প্রশ্নে মুখ লাল হয়ে যায়। নেতা হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে অর্গানিক কেমেস্ট্রিতে পিএইচডি শেষ করে চলে এলাম।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ডাক্তার-নার্সরা কর্মবিরতিতে
অন্তর্বাসে বিষ প্রয়োগকারী পুতিন
সীমান্তে গরু পাচারে জড়িত বিএসএফ, ৪ বছর পর শাস্তি
তো মানুষ আমেরিকাকে বলে—দ্যা ল্যান্ড অব অপরচুনিটি। অন্যকিছু ভুলে, আমি সেই নেতা হওয়ার অপরচুনিটিতেই বিভোর ছিলাম। আইভিলিগ স্কুলে আসলাম গবেষণা করতে। চিন্তা করলাম এতো বড়ো ইউনিভার্সিটি! ওয়াশিংটন ও লিংকনদেরকে নিশ্চয় ওরা পূজা করে। নেতাদের কতো কতো পোস্টার থাকবে। —আমেরিকান পোস্টার! একটা অবসেশন ছিলো।
কিন্তু পুরা ক্যাম্পাস ঘুরে কিছুই দেখলাম না। হতাশায় খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম। মনে মনে ভাবলাম— ওহে, বোকা জাতি! যে ওয়াশিংটন-লিংকনদের জীবনী পড়ে আমরা বিসিএস পরীক্ষা দেই, তোমরা নিজেরাই সে নেতাদের দাম দিচ্ছো না! ইচ্ছে ছিলো বোকাদের নিয়ে আমার দেশের ক্যাম্পাসগুলো দেখাই। কতো সুন্দর!
ক্যাম্পাসগুলোতে কতো সুন্দর সুন্দর পোস্টার। শুধু পোস্টার আর পোস্টার। হায়রে পোস্টার। নেতায় ভরপুর ক্যাম্পাসে পোস্টার শিল্পের কী অনন্যতা!
ইউরোপ-আমেরিকার অনেক নাম-ধাম থাকতে পারে। আসলে এগুলোর বেশিরভাগই গুজব। বিশ্বাস করুন—জাতি হিসেবে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বোকা।
news24bd.tvআয়শা