গণতন্ত্র সূচকে ৪ ধাপ এগোল বাংলাদেশ

গণতন্ত্র সূচকে ৪ ধাপ এগোল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচক ২০২০-এ বাংলাদেশের চার ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে এবার ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৭৬তম অবস্থানে। এর আগেরবার ছিল ৮০তম অবস্থানে।

আজ বুধবার পাঁচটি মানদণ্ডে একটি দেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি বিচার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইআইইউ।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২০০৬ সাল থেকেই প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করে। তাদের বিবেচনায় সারাবিশ্বেই গণতন্ত্রের পরিস্থিতির বেশ অবনমন হয়েছে। সারাবিশ্বের গড় স্কোর আগের বছরের ৫ দশমিক ৪৪ থেকে কমে ৫ দশমিক ৩৭ হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।

অবশ্য এর পেছনে করোনা মোকাবেলায় জনগণের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করাও বড় ভূমিকা রেখেছে।  

নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার- এই পাঁচ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ ভিত্তিক এই সূচক তৈরি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

এসব বিবেচনায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ‘পরিস্থিতি ভালো’ বলে মনে করছে ইআইইউ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে ভারত। ৬ দশমিক ৬১ স্কোর নিয়ে ভারত আছে তালিকার ৫৩ নম্বরে।


আমরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি: রিজভী

জামাত-শিবির আন্তর্জাতিক মিডিয়া ভাড়া করে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

কাটলো প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন জটিলতা


দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ৬ দশমিক ১৪ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা ৬৮তম; ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ৭৬তম; ৫ দশমিক ৭১ স্কোর নিয়ে ভুটান ৮৪তম; ৫ দশমিক ২২ স্কোর নিয়ে নেপাল ৯২তম; ৪ দশমিক ৩১ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান ১০৫তম; ৩ দশমিক ০৪ স্কোর নিয়ে মিয়ানমার ১৩৫তম এবং ২ দশমিক ৮৫ স্কোর নিয়ে আফগানিস্তান ১৩৯তম অবস্থানে রয়েছে।

সূচকে ৯ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে এবারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। শীর্ষ দশে আরও আছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস। এ তালিকায় সবার নিচে অবস্থান হয়েছে উত্তর কোরিয়ার। এছাড়া ডিআর কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকা, সিরিয়া, চাদ, তুর্কমেনিস্তানকেও নিচের দিকে রাখা হয়েছে।   

২০২০ সালের এই সূচক বলছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক (৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ) এখন গণতন্ত্র অথবা আংশিক গণতন্ত্র ভোগ করছে। এর মধ্যে পূর্ণ গণতন্ত্র উপভোগ করছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।

সব সূচক মিলিয়ে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮ এর বেশি হলে সেই দেশে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর স্কোর ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে হলে সেখানে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে হলে ‘মিশ্র শাসন’ এবং ৪ এর নিচে হলে সে দেশে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে বলে ধরা হয়।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালে তাদের ভাষায় ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ ছিল মাত্র ২৩টি দেশে, যা আগের বছরের চেয়ে একটি বেশি। ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ রয়েছে এমন দেশের সংখ্যা আগের বছর থেকে দুটি কমে ৫২টি হয়েছে। আর ‘মিশ্র শাসনে’ আছে এমন দেশ ৩৭টি থেকে কমে ৩৫টি হয়েছে। তাদের বিচারে বর্তমান বিশ্বে ৫৭টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীনে রয়েছে; এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে তিনটি বেশি।

news24bd.tv নাজিম