অনিয়মে ডুবছে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল

অনিয়মে ডুবছে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল

Other

বছরের পর বছর ধরে পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫০ শয্যা ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালটি। জনবল সংকটের মধ্যেই নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে চলছে হাসপাতালটির ইনডোর এবং আউটডোর সেবা কাযক্রম। এছাড়া হাসপাতাটিতে ঠিকমত ঔষধ না পাওয়া এবং ডাক্তার না থাকার নানা অভিযোগ রয়েছে রোগীদের।

অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রশাসনিক অনুমোদনের পরও  চালু হয়নি পুরাতন ঢাকার নয়াবাজার বুড়িগঙ্গা ২য় ব্রীজ সংলগ্ন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালটি।

জানা যায় এই হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার বিপরীতে বর্তমানে চিকিৎসক ও নার্স ৬০ জন।  

অনেকের ধারণা জনবল সংকট আর হাসপাতালটি সম্পর্কে না জানায় রোগীরা যাচ্ছে না। এমন তথ্য যেমন সত্য আবার সীমিত জনবলের দোহাই দিয়ে চিকিৎসা সেবায়ও নানা অনিয়মের চিত্র পাওয়া যায় এই হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচতলায় মেডিসিন, গাইনি ও প্রসূতি, প্যাথলজি, চর্ম ও যৌন, দন্ত এবং নাক, কান ও গলা বিভাগের সামনে চিকিৎসা নিতে অপেক্ষা করছেন পাঁচ থেকে ছয়জন করে রোগী।

কিন্তু বেশিরভাগ চিকিৎসকই প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় হাসপাতালে উপস্থিত নেই।

এছাড়া সরকারী ঔষধ-ইনজেকশন বন্টনে নানা অনিয়মের অভিযোগ আছে এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, যে ওষুধটি কমদামি সেটি এখান থেকে দেয়া হচ্ছে কিন্তু যেটির দাম বেশি সেটি বাইর থেকে কিনতে হচ্ছে। এছাড়াও ৭দিনের ওষুধ লিখে দিলেও পাওয়া যায় ৩দিনের বাকি ওষুধ কিনতে হয় বাইর থেকে।

আরও পড়ুন:


করোনার সময়েও দেশে বেড়েছে বিত্তশালী মানুষের সংখ্যা

চুক্তিতে নিককে বিয়ে করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা!

আন্তর্জাতিক আদালতে আমেরিকার বিরুদ্ধে বিচার চলবে

রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ


হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, মরিচা পড়ে নষ্ট হওয়ার পথে রোগিরদের বেড। গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন চারজন। ওয়ার্ডের বাকি  বিছানাই ফাঁকা পড়ে আছে।

এর কারণ হিসেবে জনবল সংকটের কথা জানালেন হাসপাতালটির পরিচালক প্রকাশ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, যা ডাক্তার তার চেয়ে আছে অর্ধেক যার ফলে কাঙ্খিত সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

কিছু সীমাবদ্ধতা কথা স্বীকার করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ। তিনি বলেন, খুব শিগগিরিই সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে হাসপাতালটির সংকট সমাধান করা হবে।

পুরান ঢাকার দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা দিতে ১৯৮৯ সালের এই হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। তখন এর নাম ছিল শ্রমজীবী হাসপাতাল। পরে ডিএসসিসির অধীনে ১৫০ শয্যা করে নাম দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল।

news24bd.tv আহমেদ