সুইস ব্যাংকে আটকে থাকা টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা

Other

মুসা বিন শমসেরসহ যেসব বাংলাদেশির টাকা সুইস ব্যাংকে আটকে আছে তা ফেরত আনতে হাইকোর্টে রিট করেছেন দুই আইনজীবী। বুধবার এ আবেদনের ওপর শুনানী নিয়ে রিটটি গ্রহণ করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও আহমেদ সোহেলের হাইকোর্টবেঞ্চ। সুইস ব্যাংকে থাকা টাকা ফেরত আনতে যে ধরণের রাষ্ট্রীয় বিধি বিধান প্রয়োজন তা এই মুহুর্তে বাংলাদেশের নেই বলে জানান দুদক আইনজীবী।

দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনা নতুন নই।

বিশ্বের আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনার মধ্যে পানামা পেপার ক্লেলেঙ্কারী, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, কানাডার বেগম পাড়ার নাম সকলের কাছে এখন পরিচিত। কিন্তু সুইচ ব্যাংকে পাচার করা টাকার পরিমাণ ও বাংলাদেশের কে বা কারা সেই টাকা রাখেন তারও কোন হদিস মেলেনি।

বুধবার এ বিষয়টি রিট আকারে আদালতকে জানান সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সুইচ ব্যাংকে টাকা পাচারকারীদের তথ্য ও পাচার রোধের নির্দেশনা চাওয়া হয় এই রিটে।

বিশেষ করে দেশের সমালোচিত ব্যাবসায়ী মুসা বিন শমসেরের কি পরিমাণ টাকা সুইচ ব্যাংকে আছে এবং তা ফিরিয়ে আনার আবেদন জানানো হয় রিটে।

আরও পড়ুন:


অনিয়মে ডুবছে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল

করোনার সময়েও দেশে বেড়েছে বিত্তশালী মানুষের সংখ্যা

চুক্তিতে নিককে বিয়ে করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা!

আন্তর্জাতিক আদালতে আমেরিকার বিরুদ্ধে বিচার চলবে


রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দি জানান, সুইচ ব্যাংক থেকে টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ আছে তবে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। রিটকারী আরেক আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম জানান, দিনকে দিন সুইচ ব্যাংকে আমাদের টাকার পরিমাণ বাড়তেই আছে। তাই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

তবে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম জানালেন, সুইচ ব্যাংকের টাকা ফেরত আনার মতো সক্ষমতা বর্তমান আইনে নেই। সেখানে অর্থ জামাকারীদের তথ্য ও মানি লন্ডারিংয়ের টাকা ফেরত আনতে হলে সেদেশের সাথে চুক্তি থাকতে হয়। সেদেশের আইন পরিবর্তন করতে হবে।

দুদক এধরনের রিটকে স্বাগাত জানায় উল্লেখ করে আইনজীবী খুরশীদ আলম জানান, বিষয়টি শুনানীর জন্য দুদকের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহয়তা করা হবে।

news24bd.tv আহমেদ