তাহিয়াতুল ওজু নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত

তাহিয়াতুল ওজু নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

ওজু করার পরে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা-এটাই হলো তাহিয়াতুল ওজু। সেটা ওজু করার পর পরই পড়তে হয়। তাহিয়্যাতুল ওজু বা ওজুর অভিবাদন হলো দুই রাকাত নামাজ। এ নামাজের মাধ্যমে বান্দার গুনাহ মাফ হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

‘তাহিয়্যাতুল ওজু’র মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়:

ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান (রা.)। একদিন তিনি ওজুর পানি চাইলেন। ওজু শুরু করে—তিনবার সুন্দর করে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুলেন। তারপর তিন বার কুলি করলেন।

নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন।  

এরপর তিন বার চেহারা ধুলেন। দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ভালোভাবে তিনবার ধুলেন। তারপর মাথা মাসেহ করলেন এবং টাখনু পর্যন্ত পা তিনবার ধৌত করলেন।  

এরপর বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এভাবে (সুন্দর করে) ওজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, যাতে (দুনিয়ার) কোনো খেয়াল করবে না, তার পেছনের সকল (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। ’ (বুখারি, হাদিস: ১৫৯; মুসলিম, হাদিস: ২২৬)

‘তাহিয়্যাতুল ওজু’র মাধ্যমে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়:

নামাজের মাধ্যমে শুধু গুনাহই মাফ হয় না। বরং এ আমলের দ্বারা মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়। একদিন ফজরের নামাজের সময় বেলাল (রা.)-কে নবী (সা.) বললেন, ‘বেলাল! আমাকে বল দেখি, ইসলামে দাখেল হওয়ার পর থেকে তোমার কোন্ আমলটি তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার জুতার আওয়াজ শুনেছি। ’


দূষণের প্রতিবাদ: পরিত্যক্ত পানির বোতল দিয়ে তৈরি মৎস্যভাস্কর্য

ডিজে নেহা রিমান্ডে

বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা


বেলাল (রা.) বললেন, ‘তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার দ্বারা আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিবা-রাত্রির যখনই ওজু করি; তখনই সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, নামাজ আদায় করি। ’ (বুখারি, হাদিস: ১১৪৯; মুসলিম, হাদিস: ২৪৫৮)

news24bd.tv নাজিম