কুরআন শরিফ ছিড়ে গেলে ইসলামের নির্দেশনা কি?

কুরআন শরিফ ছিড়ে গেলে ইসলামের নির্দেশনা কি?

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র কুরআন শরিফ দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে তা ছিড়ে যায় অথবা লেখা ঝাপসা হয়ে আসে। ঘরে কিংবা মসজিদেও এমন অনেক পুরোনো কুরআন শরিফ চোখে পড়ে। এ অবস্থায় পুরোনো বা ছেঁড়া এসব কুরআন শরিফ কী করতে হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাই বা কী?

পুরোনো বা ছেঁড়া কুরআন শরিফ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়টি জানা সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাড়ি বা মসজিদ-মাদরাসায় থাকা কুরআনুল কারিমের পুরোনো বা ছেঁড়া পাণ্ডুলিপিগুলো নিয়ে অনেকেই আতঙ্কে থাকেন।

তারা বুঝে ওঠতে পারেন না যে, এসব ক্ষেত্রে তারা কী করবেন? কোথায় রাখবেন? এ পরিস্থিতিতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট করণীয়। এতে আতঙ্কিত বা চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই।

পুরনো, ছেঁড়া বা পড়ার অনুপযুক্ত কুরআনুল কারিমের কপিগুলোর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে একাধিক মতামত পাওয়া যায়। হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময়ের একটি ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হলো।

তাহলো-

হজরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন কুরআনুল কারিমের মুসহাব বা বিক্ষিপ্ত খণ্ডগুলো একত্র করলেন তখন যেগুলো অতিরিক্ত রয়ে গেল, আর কাজে লাগবে না; তখন সবগুলোকে একসঙ্গে একত্রিত করে পুড়ে ফেললেন। তারপর তা মাটিতে পুঁতে দিলেন। ’

কেউ কেউ অবশ্য ভিন্ন মত দিয়েছেন, কুরআনুল কারিমের পুরনো বা ছেঁড়া পাণ্ডুলিপিগুলো মৃত মুসলমান ব্যক্তিকে দাফনের মতো করে পবিত্র কাপড়ে পেঁচিয়ে সুরক্ষিত ও পবিত্র স্থানে দাফন করে দেয়া।

তবে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে পবিত্র কুরআনের মর্যাদা যেন নষ্ট না হয়। কুরআনের সম্মান রক্ষায় যে বিষয়গুলোতে সবাই একমত। কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় যে বিষয়গুলো করা যাবে না; তাহলো-

ডাস্টবিন, ময়লার ভাগাড়, অত্যাধিক নোংরা স্থান বা রাস্তায় ফেলা যাবে না।
গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি চলাফেরা করে এমন স্থানে কুরআনের কপি দাফন করা যাবে না।
এমন জায়গায় নিক্ষেপ করা যাবে না যেখানে কোরআনুল কারিমের অবমাননা হতে পারে।
অমর্যাদার আশংকা থাকলে ছোট পুকুর, জলাশয়, খাল, নদী কিংবা জলাশয়ে ফেলা যাবে না।

আরও পড়ুন:


টিকা নিলেই ৫০০ টাকা উপহার

‘শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান’ পদক পাওয়ার এক সপ্তাহ পরেই তিনি কারাগারে

টাঙ্গাইলে নির্বাচন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

আল-জাজিরার মূল তথ্যদাতা সামির আসল পরিচয় কি?

উল্লেখ্য, যারা কুরআনুল কারিম পবিত্র কাপড়ে মুড়িয়ে পবিত্র স্থানে দাফনের কথা বলেছেন, তারা কুরআনুল কারিম না পুড়ানোকে উত্তম বলেছেন। তাদের মতামত হলো- কুরআনুল কারিম আগুনে পুড়ে ফেললেও হক আদায় হয় না। একান্ত যদি কেউ তা পুড়ে ফেলে তবে সে যেন পোড়ানো ছাঁইগুলো পবিত্র স্থানে দাফন করে দেয় কিংবা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কুরআনুল কারিমের পাণ্ডুলিপি পড়া অনুপোযুক্ত হলে তা সম্মানের সহিত হেফাজত করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পুরাতন, ছেঁড়া কিংবা পড়ার অনুপোযুক্ত পাণ্ডুলিপিগুলো সংরক্ষণের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা মানার তাওফিক দান করুন। আমিন।

news24bd.tv আহমেদ