মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বছরে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হচ্ছেন ১ হাজার ২শ মানুষ। আর ৬ মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত অস্থীয় পঙ্গুত্বের সংখ্যা দশ হাজারের বেশি। বেসরকারি এক সংস্থার তথ্য বলছে, গেল জানুয়ারিতে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৫৯ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৮ জন।

সড়কে শৃঙ্খলা না মানা ও বেপরোয়া গতির কারণে দিন দিন বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

গোপালগঞ্জের ১৯ বছর বয়সি কিশোর মাহমুদুল। বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি ও তার ভগ্নিপতি। প্রাণে বেঁচে গেলেও ভগ্নিপতি হারিয়েছেন এক পা আর মাহমুদুল ছয় মাস ধরে শয্যাসায়ী রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে।

একই অবস্থা নোয়াখালীর মারুফের। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে ৭ জনের সংসার চলে তার আয়ে। ঘরে ৫ মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এখন দিশেহারা। তাদেরমত একই অবস্থা এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীর।

বেসরকারি সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, গেল মাসে ১৫৯ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৬৮ জন। যা দুর্ঘটনায় মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর হাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের হিসেব অনুযায়ী গেল বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ হাজার মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। যার মধ্যে হাত-পা হারানো রোগীর সংখ্যা অন্তত ১২শ।

আরও পড়ুন:

দ্রুত এগিয়ে চলেছে স্বপ্নের মেট্রোরেল, প্রস্তুত ৫টি স্টেশন

ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধে সৌদিকে অস্ত্র সাহায্য বন্ধের আহ্বান

চার দিনের সফরে ঢাকায় মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‘যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ বছরের ব্যর্থ নীতি পরিহারের সময় এসেছে’

জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আব্দুর রব বলছেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যত মানুষের অঙ্গহানি হয়। অন্য কোন দুর্ঘটনায় এতো পরিমাণ মানুষের অঙ্গহানি হয় না।

  
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট সাবেক পরিচালক ড. এম শামসুল হক, মোটরযান কেনা সহজলভ্য হওয়ায় চাহিদার সাথে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। তিনি আরও বলেন, দ্রুত যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল আরোহীরা মানেন না কোন নির্দশনা।

এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে ভবিষ্যতে দেশের যুবসমাজের বড় একটি অংশ পঙ্গুত্ব বরণ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

news24bd.tv আহমেদ