সম্মানবোধের শিক্ষাটা আসে পরিবার থেকে: সামিয়া রহমান

সম্মানবোধের শিক্ষাটা আসে পরিবার থেকে: সামিয়া রহমান

Other

একটি চ্যানেলের কর্ণধার, পুরোপুরি কর্ণধার হবার যোগ্যতা তার হয়নি। সম্ভবত সিএনই লেভেলেই আছেন। তিনি কাল আবার বাবার স্ট্যাটাস দেখে লিখলেন,  ‌‘এতোদিন দেখেছি চোরের মায়ের বড় গলা, এখন দেখছি চোরের বাপেরও বড় গলা’। বয়োবৃদ্ধদের সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র সম্মানবোধ নেই, অবশ্য সম্মানবোধের শিক্ষাটা আসে পরিবার থেকে।

তার হয়তো সেই সুযোগই ছিল না।

কিন্তু আমার তো মনে হয়, বাক্যটা এমন হওয়া উচিত ছিল এতোদিন শুনেছি চোরের মায়ের বড় গলা, কিন্তু চোরের স্বামীর এতো বড় গলা হলো কি করে? তার স্ত্রী বাংলাদেশের সকল চ্যানেলে চাকরির জন্য সুপারিশ ধর্ণা ধরে ধরে যখন চরম ব্যর্থ, ফাউ ফাউ কাজে দিন গুজরান করে, তখন আমার কাছে চাকরির সুপারিশ করছিল। তখন আমিই তাকে গাজী টিভির মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। জোর করে তাকে চাকরি দিয়েছিলাম।

তার বিরুদ্ধেই আমার বিভাগের তিন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা চরম আন্দোলন করেছিল- কি? সে নাকি শিক্ষক হিসেবে পড়াতেই পারে না। শিক্ষার্থীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া তো দূরের কথা, পড়াতেই নাকি পারেন না। অধ্যাপক গোলাম রহমান তখন চেয়ারম্যান ছিলেন।

আরও পড়ুন:


শ্রমিক নেয়াসহ যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হল মালদ্বীপের সাথে

যে তাসবিহ পাঠ করলে অধিক নেকি লাভ ও গোনাহ মাফ হয়

কাজী হায়াতের ছবির সেই পাগলী এখন কোথায়?

‘আমেরিকা-ইসরাইল কৌশলগত অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়েছে’


সমাধানের জন্য সকল শিক্ষার্থীদের লেকচার থিয়েটারের এক সাইডে আর আর এক সাইডে সকল শিক্ষকদের বসানো হল। শিক্ষার্থীরা ২ ঘন্টা যাবত ঐ নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে গাল মন্দ করলেন ( যিনি বর্তমানে আমার পূর্বের গণমাধ্যম কর্মরত। ) লজ্জায় সকল শিক্ষকের মাথা কাটা গিয়েছিল। ঐ মহিলা শিক্ষককে দুই ব্যাচ পড়ানোর ক্ষমতা থেকে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছিল। বিশেষত তার ইংরেজি ‍ও যেকোনো বিষয় সম্পর্কে দুর্বলতার জন্য। অকৃতজ্ঞ তো দুনিয়ার অনেক মানুষই হয় কিন্তু এখন দেখছি কৃতঘ্নদের।

দেখলাম বলা ভুল, তিনি তার সাদা মুখোশের আড়ালে সেটি অনেক আগেই দেখিয়েছেন। বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসকে বহুবার বলেছেন সামিয়া রহমান মরে না কেন? ----- আমি মরি না বাঁচি, তোমাদের মতো কীট পতঙ্গের কারণে মরবো না। যদি মরি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মরবো। যে অন্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন সকল প্রমান আমার পক্ষে থাকার পরও গায়ের জোরে সিদ্ধান্ত চাপাচ্ছেন। এতোদিন এতো মিডিয়াকে ডেকে বক্তব্য দিচ্ছেন, কিন্তু যখনই ডক্যুমেন্ট ধরে প্রশ্ন করা হচ্ছে সব্বাই বেমালুম এড়িয়ে যাচ্ছেন বিধা দ্বিধায়। অস্বীকার করছেন সব কিছু। এদেশেতে আসলে সবই সম্ভব হয়। নষ্টরাই টিকে থাকে। তারাই ধ্বংস করে সব কিছু।

news24bd.tv আহমেদ