মশা নিধনে সোমবার থেকে ক্রাশ প্রোগাম শুরু: মেয়র আতিক
আল্পস পর্বতের বিপর্যয় এড়াতে জোড় গবেষণা চলছে
অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপে অবস্থিত পর্বতমালাদের অন্যতম আল্পস পর্বতমালা। পূর্বে অস্ট্রিয়া ও স্লোভানিয়া এবং পশ্চিমে ইতালি, সুইজারল্যান্ড, লিশ্টেনশ্টাইন হয়ে জার্মানি থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত। আল্পস পর্বতমালার সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত ইতালি-ফ্রান্স সীমান্তে অবস্থিত মোঁ ব্লঁ, যার উচ্চতা ৪৮০৮ মিটার।
আল্পস পর্বতের একটি অংশে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ ঘনমিটার অংশ ভেঙে পড়েছে। আট জন পর্বতারোহী সে সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন। আজও তাঁরা নিখোঁজ। সেই ধ্বংসলীলার কিছু সময় পর কাদামাটির বন্যা বোন্ডো শহরের মধ্যে নেমে এসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।
অস্ট্রিয়ার টিরোল অঞ্চলের হিন্টারহর্নবাখ ধস নামলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও কাদামাটির স্রোত সেখানেও পৌঁছতে পারে। সেখানকার মানুষ ও পর্বতারোহীদের ঠিক সময় সতর্ক করতে বিজ্ঞানীরা পাহাড়ের চূড়ার নড়াচড়ার উপর অবিরাম নজরদারি চালাতে চান। প্লাস্টিকের পাইপের মধ্যে দূরত্ব মাপার যন্ত্র রয়েছে।
টেলিস্কোপের মতো সেগুলি আরও লম্বা বা ছোট করা যায়। ফাটলের মাপ বাড়লেও সেটি তা নথিভুক্ত করতে পারে। তারপর বেতার সংকেতের মাধ্যমে উপত্যকায় সেই তথ্য প্রেরণ করা হয়।
১৮৬৩ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো একটি পর্যটন সংস্থা সুইজারল্যান্ডের আল্পস-এ একটি ভ্রমণের আয়োজন করেছিল। এ বছরের সুইস গ্র্যান্ড ট্যুর ২০১৩-তে একটি দল সেই সময়ের পথ ধরেই আল্পস ভ্রমণ করল। লিউকারবাড এবং কান্ডেরস্টেগের মধ্যকার গেমি পাস-এ দলটির অনেকে পর্বতারোহণও করেছে।
ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে ডাকাতি
‘দূর সম্পর্কের বোনের’ সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক, সাজা বাতিল হলো কিশোরের
দেশীয় বিলুপ্ত প্রজাতির শকুনটিকে খাওয়ানো হচ্ছে মাংস
তুরস্ককে বাইডেন প্রশাসনের হুমকি
হাড়ের দক্ষিণের অংশ ভেঙে পড়লে উত্তরে আলগয় অঞ্চলেও তার পরিণতি টের পাওয়া যাবে। সেখানে কোনো লোকালয় না থাকলেও পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রিয় মানুষের পছন্দের এক ট্রেল বা গিরিপথ রয়েছে। জিওমর্ফোলজিস্ট হিসেবে মিশায়েল ডিৎসে মনে করেন, ‘‘সেখানে এক ধাক্কায় পাহাড় ভেঙে পড়লে চূড়ার অংশেও আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ভারসাম্য সম্পূর্ণ বদলে গেলে আরও ধস নামবে।’’
ফ্লোরিয়ান মেডলার ও সিমন গিলিশ পাহাড়ের উপর একটি ড্রোনও ওড়াচ্ছেন। ড্রোনের ক্যামেরা দিয়ে ফ্লোরিয়ান এমন ছবি তুলছেন, যার সাহায্যে পাহাড়ের ত্রিমাত্রিক চেহারা ফুটে উঠছে। তাতে মাত্র এক থেকে দুই সেন্টিমিটার ত্রুটির অবকাশ রয়েছে। সেই ছবি দেখে সামান্য চিড়ও শনাক্ত করা সম্ভব। এই উদ্যোগের আওতায় বিজ্ঞানীরা নজরদারির বিভিন্ন প্রযুক্তি হাতেনাতে পরীক্ষার সুযোগও পাচ্ছেন।
ক্রাউটব্লাটার ও তাঁর সহকর্মীরা বড় ফাটলগুলিতে দূরত্ব মাপার ডাণ্ডাও বসাচ্ছেন। তবে তাতে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সব পরিমাপ যন্ত্র বসানো সম্ভব হয়েছে। এভাবে ধস নামার কয়েক দিন আগেই উপত্যকার মানুষ ও পর্বতারোহীদের সতর্ক করার আশা করছেন তাঁরা।
news24bd.tv আয়শা
পরবর্তী খবর
মন্তব্য