অতিরিক্ত মদপান করিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ডিজে নেহার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। অশালিন অঙ্গভঙ্গিতে নেচে সমাজের বিত্তবানদের ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় করাই ছিল তার পেশা। তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, নেহার দেয়া তথ্যে নাম আসছে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ি, সরকারি কর্মকর্তার। তবে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি নেহার স্বামির।

ফারজানা জামান ওরফে ডিজে নেহা। দেখে বোঝার উপায় নেই নিম্নমধ্যবিত্ত সাধারণ এক পরিবারের সন্তান নেহা। দামি পোশাক ও প্রসাধনীতে নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করাই ছিল তার প্রধান হাতিয়ার। অশালিন অঙ্গভঙ্গিতে নেচে সমাজের বিত্তবানদের ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় করাই ছিল তার পেশা।

মুলত ধনী ব্যক্তিদের পকেট কাটতে এসব তরুণীকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হত। এ ক্ষেত্রে তার হয়ে তরুণ-তরুণীদের একটি চক্রও কাজ করতো বলে জানায় পুলিশ। হারুন অর রশিদ, উপ-পুলিশ কমিশনার, তেজগাঁও বিভাগ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, তরুণ-তরুণীদের একান্তে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টের সঙ্গে নেহার যোগাযোগ ছিল। এসব পার্টিতে মাদক সরবরাহ করত অবৈধ মাদককারবারিরা। হারুন অর রশিদ, উপ-পুলিশ কমিশনার, তেজগাঁও বিভাগ।

২৮ জানুয়ারি উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে নেহার আয়োজিত মদের পার্টিতে অসুস্থ হয়ে পরলে ওই শিক্ষার্থীকে হাসাপাতালে নেয়া হয়। ৩১ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তার পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল।