জেল থেকে বেরিয়ে আবারও বেপরোয়া সোরাব খাঁ

জেল থেকে বেরিয়ে আবারও বেপরোয়া সোরাব খাঁ

Other

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পূর্ব দ্বারাদিয়া গ্রামে সোরাব খাঁ বাহিনীর অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে যেনতেন কাজ করতেও পিছু পাঁ হটতে না এই বাহিনী।

তার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বৃদ্ধা নারী-পুরুষসহ সাধারণ মানুষ। এই বাহিনীর প্রধান সোরাব খাঁ এরই মধ্যে একটি ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল।

এখনো তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, নারী নির্যাতন, জবর দখলসহ অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী পূর্ব দ্বারাদিয়া গ্রাম। এখানে র্দীঘ দিন ধরে কামু খাঁর ছেলে সোরাব খাঁ আধিপত্য বিস্তার করে নিজ নামে একটি বাহিনী তৈরি করেছে। যার মূল ভূমিকায় সোরাব খাঁ নিজেই।

চুরি, ডাকাতি, মারামারি, রাহাজানির অভিযোগ এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রায় ২০ বছর আগে মাদারীপুরে লঞ্চ ডাকতি করলে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। পরবর্তীতে তিনি সাজা ভোগ করে বের হন। এরপরেও থেকে থাকেনি সোরাব খাঁ বাহিনীর তান্ডব। কারো বাড়ী নির্মাণ হলে চাঁদা দাবী করে তার বাহিনীর সদস্যরা। ফলে পূর্ব দ্বারাদিয়া গ্রামের নুর হোসেন বাদী হয়ে সোরাব খাঁকে প্রধান আসামী করে তার বাহিনীর অন্তত ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলাও করেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সোরাব খাঁ র্দীঘ দিন ধরে গ্রামের নিরহ মানুষকে অত্যাচার করে আসছে।

যার কারণে তার বিরুদ্ধে ২০০৭ সাথে খুন জখমের অভিযোগে মামলা করেন পূর্ব দ্বারাদিয়া গ্রামের খোকন খানের স্ত্রী মহিদা বেগম, তার বিরুদ্ধে ২০১২ সাথে ২৩ এপ্রিল একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন একই গ্রামের মতি খানের ছেলে নুর হোসেন খান, জমি দখলের অভিযোগে ২০১৯ সালে সোরাব খাঁ বিরুদ্ধে একই গ্রামের মৃত ফরিদ খানের ছেলে অহিদুল খান মামলা দায়ের করেন, একই অভিযোগে ২০২০ সাথে একই গ্রামের মৃত গঞ্জর আলী খানের ছেলে সুলতান খাঁ আদালতে মামলা করেন।

অন্যদিকে এই বাহিনীর প্রধান সোরাবসহ অন্যদির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পূর্ব দ্বারাদিয়া গ্রামের মৃত সাহেদ হাওলাদারের ছেলে আলেম হাওলাদার আদালতে মামলা করেন। একই গ্রামের খলিল হাওলাদারের মেয়ে ও আমিনুল ইসলামের স্ত্রী রানী বেগম সোরাব খানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীসহ হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এছাড়া সোরাব খাঁ ও তার বাহিনীর একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক জিডি রয়েছে। এসব মামলা হওয়ার পরেও সোরাব বাহিনীর অত্যাচার থেমে থাকছে না। বরং দিন দিন বেড়েই চলছে তার তান্ডব। এ থেকে পরিত্রাণ চায় এলাকাবাসী।

নির্যাতনের শিকার রানী বেগম বলেন, ‘আমার ক্রয়কৃত জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্যে সোরাব খাঁসহ তার বাহিনী আমাদের উপর নির্যাতন চালায়। তার সাথে স্থানীয় জোবাহার হাওলাদার, আসিব ফকির, বদর হাওলাদার ওরফে মিজান, কেরামত হাওলাদারসহ প্রায় ৮ থেকে ১০ জন আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় আমার মাকে বেদম মারপিট করে মাথায় কোপ দেয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা এই বাহিনীর অত্যচার থেকে মুক্তি চাই। ’


মহামারি পৌঁছায়নি মক্কা ও মদীনার দুই পবিত্র মসজিদে

সরকার আল জাজিরার ভাইরাসে আক্রান্ত: বিএনপি

কানাডাকে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান ইরানের

বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছে সৌদি আরব


আরেক নির্যাতনের শিকার নুর হোসেন খান বলেন, ‘আমার মামলা উঠানের জন্যে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। যে কোন সময় আমাকে গুম করে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে। সোরাব খাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের হেড কোয়াটার্সের অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তার অপকর্মের সঠিক তদন্ত করলে সতত্যা পাওয়া যাবে। ’

অভিযোগের ব্যাপারে সোরাব খাঁ বাহিনীর প্রধান সোরাব খাঁ বলেন, ‘আমার এক প্রতিপক্ষ তৎকালীন সিআইডিতে ছিল । সে আমাকে ফাসিয়েছে। এরশাদের আমলে কোন ন্যায় বিচার ছিলো না। তাই আমার সাজা হয়েছিল। একারনে চার বছর জেল খাটতে হয়েছে। এখন ন্যায় বিচার করতে গিলে এলাকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। এতে আমার কিছুই করার নেই। আর যে অভিযোগ দিচ্ছে, পারলে সে আমার সামনে এসে কথা বলুক। ’

এব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড এডমিন) মো. আব্দুল হান্নান জানান, যদি তদন্তাধীন কোন বিষয় থাকে, তাহলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। আর বিচারাধীন হলে সেটা আমাদের কিছুই করার নেই। সেটা আদালত দেখবে। তবে অপরাধী হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

news24bd.tv / নকিব