র‌্যাগিংয়ে প্রাণ গেল রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীর

র‌্যাগিংয়ে প্রাণ গেল রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীর

অনলাইন ডেস্ক

দেখা করতে  গিয়েছিলেন প্রেমিকার সঙ্গে। বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন প্রেমিকার বন্ধুরা। তাদের র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হলো প্রেমিক হামিম হোসেনকে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে হামিম মারা যায়।

এ ব‌্যাপারে হামিমের বাবা বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় এজাহার দাখিল করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। হামিম হোসেন (২০) নওগাঁ সদর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। তিনি রাজশাহী কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, হামিম হোসেন রাজশাহীতেই থাকতেন। বাড়িতে আসার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি নওগাঁ সদরে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় ওই প্রেমিকার তিন বন্ধু নওগাঁ মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মোজাম্মেল হকের ছেলে আসিফ হোসেন সজল (২৯), নওগাঁ শহারের দয়ালের মোড়ের মামুনুর রশিদের ছেলে সুরুজ (২৬) ও নওগাঁ শহারের দয়ালের মোড়ের মতিউর রহমানের ছেলে প্রান্তসহ (২৭) ৪-৫ জন হামিমের ওপর র‌্যাগিং চালায়।

আরও পড়ুন:


সৌদি জোটের আরেকটি ড্রোন ধ্বংস করলো ইয়েমেন

গোপন ক্যামেরায় রিসোর্টে দম্পতির অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণ

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নারী সৈনিক নিয়োগ


এক পর্যায়ে হামিমের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এতে হামিম মারাত্মক আহত হলে নির্যাতনকারীরা তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর হামিমের ফোন থেকেই আত্মীয়দের জানিয়ে দেওয়া হয় হামিমের গুরুতর আহত হওয়ার খবর। তারপর হামিমকে ভর্তি না করেই হাসপাতালে রেখে চলে যান তারা। এরপর নিজেদের ফেসবুকে হামিমের নির্যাতনের ছবি আপলোড করেন। হামিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই দিনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে (১১ ফেব্রুয়ারি) হামিমের মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে হামিমের বাবা নওগাঁ সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

এদিকে, একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন হামিমের মা-বাবা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা ভেনি আকতার সন্তানের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জাবি জানান।

ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন‌্য আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জোর তৎপরতা চলছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

news24bd.tv আহমেদ