শ্রীপুরে আগুনের ঘটনায় মামলা

শ্রীপুরে আগুনের ঘটনায় মামলা

Other

গাজীপুরের শ্রীপুরের টেপিরবাড়ী গ্রামের এএসএম কেমিকেল কারখানায় আগুনে প্রায় ১৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের সময় বিস্ফোরণে কারখানার আশপাশের কয়েকটি বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্ল্যান্টে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুনে কারখানার এই প্লান্টটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

আরও পড়ুন: 


স্বামীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া, প্রেমিক ধরা

পরকীয়া প্রেমিকের হারিয়ে যাওয়া ফোনে স্বামী হত্যার রহস্য ফাঁস

পরকীয়া প্রেমিকাসহ ধরা যুবদল নেতা

পরকীয়া প্রেম: রাতভর আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ

কোভিডে টরন্টোয় বন্দুক সন্ত্রাস বেড়েছে, বাংলাদেশিদের সতর্কতার পরামর্শ

ইসলামে নাম ব্যঙ্গ করার পরিণাম কী?

সূরা তাওবায় কেন ‘বিসমিল্লাহ’ নেই, কি বিষয়ে সূরাটি নাযিল

কুরআন শরিফ ছিড়ে গেলে ইসলামের নির্দেশনা কি?

যে কারণে দোয়া কবুল হয় না


আগুনের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আলমগীর হোসেন (৪০) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার উজিলাব গ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও আগুনের এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানের ফিডার পদে কর্মরত টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার আওয়ালপুর গ্রামের সিরাজ বেপারীর ছেলে আশরাফ আলীরও সন্ধান পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা।

এদিকে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আগামী সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে।

কারখানার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, তিনি ১৪টি আধপাকা টিন সেড ঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় বিস্ফোরণে লোহার দণ্ডের আঘাতে তার বাড়ির দেয়াল ফুটো হয়ে গেছে। স্থানীয় মুক্তার হোসেনের
১২টি বসত ঘরেও বিস্ফোরণের সময় লোহা ও স্টিলের দণ্ডের আঘাতে বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ৪০টি ভাড়া বাড়ি আধা পাকা টিন সেডও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ বলেন, কারখানার এই প্ল্যান্টে সকাল থেকেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। রক্ষণাবেক্ষণ শেষে বিকেলে মেশিন চালু করা মাত্রই আগুন ধরে যায়। এই প্লান্টে সে সময় ৩জন শ্রমিক কাজ করছিল। এ ঘটনায় অনেকেই আহত হয়, তারা বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৫জন শ্রমিক ভর্তি রয়েছেন। আগুনের এ ঘটনায় কারখানায় প্রায় ১৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তার স্বামীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তিনি।

news24bd.tv তৌহিদ